আত্মগোপন করেই গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্ট আবেদন করলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জীতেন্দ্র তেওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী চৈতালি। তাঁর বাসভবনে পুলিশ জেরার জন্য গেলেও কাজ হয়নি। দরজায় ঝুলছে তালা। বিজেপির এই নেতা কোথায় জানেন না কেউই। (Asansole.CP)
আসানসোলে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তৎপরতা শুরু করল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) বাড়িতে হাজির হয়ে গিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার তাঁকে জেরা করতে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে পৌঁছে যায় পুলিশ। (BJP leader Jitendra Tiwari)
আসানসোলে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি। সেই অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জন মারা যান। তারপরেই আয়োজকদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।
পুলিশের অনুমতি না নিয়েইঅনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলাতেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে জেরা করতে চেয়ে মঙ্গলবার সকালেই জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়ি পৌঁছে যায় পুলিশ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে হাজি হলেও দরজায় তালা বন্ধ। জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে ঢুকতে পারল না পুলিশ। বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছে পুলিশকে। কোথায় রয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী তার কোনও তথ্য পুলিশ জানতে পারেনি এখনও। এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশ আসতে পারে আঁচ করেই কি জিতেন্দ্র তিওয়ারি গা ঢাকা দিয়েছেন।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি কয়েক দিন আগেই গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন পুলিশ ইচ্ছা করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নির্দেশেই মামলা করেছে পুলিশ। এমনই দাবি করেছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকালই পুলিশ তাঁকে নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল জেরা করার কথা।
৫০০০ জনকে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তার কোনও পুলিশি অনুমতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি নেননি। এমনই অভিযোগ করেছেন পুলিশ কমিশনার। যদিও পুরোটাই মিথ্যে দাবি বলে অভিযোগ করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
তিনি দাবি করেছিলেন, অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। পুলিশকে চিঠিতে মেগা ব়্যালি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে আর কোনও উত্তর দেয়নি পুলিশ।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং চৈতালি তিওয়ারির কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । তিনি সভায় উপস্থিতও হয়েছিলেন। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরেই অনুষ্ঠানস্থলে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। তারপরেই তিনজন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।