শিব হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ দেবতা। সনাতন ধর্মের শাস্ত্রসমূহে তিনি পরমসত্ত্বা রূপে ঘোষিত। শিব সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়রূপ তিন কারণের কারণ। তিনি সমসাময়িক হিন্দুধর্মের তিনটি সর্বাধিক প্রাচীন সম্প্রদায়ের অন্যতম শৈব সম্প্রদায়ের প্রধান দেবতা। এছাড়া শিব স্মার্ত সম্প্রদায়ে পূজিত ঈশ্বরের পাঁচটি প্রধান রূপের (গণেশ, শিব, সূর্য, বিষ্ণু ও দুর্গা) একটি রূপ। তার বিশেষ রুদ্ররূপ ধ্বংস, সংহার ও প্রলয়ের দেবতা।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে অফিস ডেস্কে গণেশ ঠাকুরের মূর্তি রাখলে কর্মক্ষেত্রে চরম উন্নতি লাভের সম্ভাবনা যায় বেড়ে। তা ঠিক! কিন্তু ভুলেও শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখবেন না! কারণ শাস্ত্র মতে, শিব ঠাকুরের ভিতর প্রচুর মাত্রায় শক্তি মজুত থাকে। তাই শক্তিতে শক্তিতে সংঘাত হয়! ফলে, অফিসে দেবের ছবি রাখলে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার আশঙ্কাই বেশি !
বাড়িতেও ভেবে-চিন্তে শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখুন। সব রকম রূপে শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখা আদৌ উপকারি নয়। যেমন, ধ্যানরত শিব ঠাকুরের মূর্তি রাখলে কোনও সমস্যা নেই! সব দিক থেকে উপকার পাওয়া যায়। গোটা পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। কিন্তু তাণ্ডবনৃত্যরত মহাদেবের ছবি বা মূর্তি রাখলে বাড়িতে পজেটিভ শক্তির মাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। কাজেই, কেউ যদি এমনিতেই এনার্জেটিক হন, সেক্ষেত্রে এনার্জির সংঘাতে উপকারের থেকে অপকার হওয়ার সম্ভাবনা যায় বেড়ে।