খবরে আমরাঃ মুম্বইয়ের গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের নতুন কোনও পরিচিতির প্রয়োজন নেই। গায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন. কিন্তু মুম্বইয়ের রঙিন দুনিয়া যে তাঁর মনকে অবিচল রেখেচে তার প্রমাণ কিছুদিন আগেই পেয়েছেন রাজ্যের মানুষ। মায়ের মৃত্যুর খবরে ্নেক বিখ্যাত নেতা-মন্ত্রী-শিল্পী দায় সারেন নেট দুনিয়াতেই। কিন্তু অরিজিৎ নিজের মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের বাড়িতে এসে শাস্ত্রমতো নিয়ম পালন করে মায়ের প্রতি শেষ কর্তব্য করতে পিছিয়ে যাননি। এবার মাটির টানে আরও এক নতুন ভূমিকায় গায়ক অরিজিৎ সিংহ। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে নিজের স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি হলেন শিল্পী। প্রাক্তন ছাত্রকে এই ভূমিকায় পেয়ে স্বভাবতই ভীষণ খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
javascript:false তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মজে আসমুদ্র-হিমাচল। কাজের সূত্রে মুম্বইয়ের অন্ধেরি তাঁর ঠিকানা হলেও ভাগীরথীর পারের জন্মস্থানকে ভোলেননি অরিজিৎ। সময়-সুযোগ হলেই শিকড়ের টানে ছুটে আসেন মুর্শিদাবাদে। তবে এ বারের সফর একটু অন্যরকম। এ বার জিয়াগঞ্জের বাড়িতে এসে নতুন দায়িত্ব নিলেন তিনি। শৈশবে যে স্কুলে পড়েছেন, সেই জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের সভাপতির দায়িত্ব নিলেন অরিজিৎ। কিছু দিন আগে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করেন। তার পরই তাঁর এই নয়া ভূমিকার কথা জানা গেল।
জিয়াগঞ্জ রাজা বিজয় সিংহ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য জানান, রাজ্যে সরকারের অনুমতিক্রমে স্কুলের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন অরিজিৎ। গত ১৩ এপ্রিল তিনি এই দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানান তিনি। স্কুলের উন্নয়ন সম্পর্কে অরিজিতের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নেটমাধ্যমে ছেলে ও সস্ত্রীক অরিজিতের কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল। তাতে জিয়াগঞ্জের মাউন্ট লিটেরা জি স্কুলের গেটের সামনে দেখা যায় তাঁকে। সেলেব সুলভ অহমিকা থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন অরিজিৎ। ছেলেকে মুম্বই বা কলকাতার কোনও স্কুলে না পড়িয়ে নিজের জেলার স্কুলে ভর্তি করেছেন তিনি। আবার পাঁচজন অভিভাবকের সঙ্গেই স্কুলের বাইরে অপেক্ষা করেন।