খবরে আমরাঃ অম্বুবাচীর আজ শেষ দিন। রবিবার থেকে ফের মন্দিরে মন্দিরে শুরু হবে মায়ের পুজো। কিন্তু তার আগে শুরু হবে অম্বুবাচীর পরবর্তী বিশেষ পুজো, ভোগ। কিন্তু জানেন কি এই অম্বুবাচীর উৎপত্তিস্থল কামাখ্য। অধুনা অসম। গত ২২ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত এই অম্বুবাচী। এ সময় কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা হয় না। অম্বুবাচীর সময় গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে প্রচুর ভক্ত এসে উপস্থিত হন। এ সময় এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। তিনদিন মন্দির বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দিনে স্নান ও পুজো সমাপ্ত হলে মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই কামাখ্যা মন্দিরের সঙ্গে একাধিক রহস্য জড়িত। ১৮টি মহা শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম হল কামাখ্যা শক্তিপীঠ।
মন্দিরের সঙ্গে জড়িত কাহিনি
কামরূপে অবস্থিত কামাখ্যায় দেবী সতীর যোনি পড়েছিল। অম্বুবাচীর সময় কামাখ্যা মন্দির সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদী লাল হয়ে যায়। মনে করা হয়, দেবী ঋতুমতী হন বলে এ সময় ব্রহ্মপুত্রের জল লাল বর্ণ ধারণ করে। অনেকের ধারণা, মন্দিরের চারটি গর্ভগৃহের মধ্যে গরবর্গীহায় দেবী সতীর গর্ভ রয়েছে।
কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী
প্রতি বছর অম্বুবাচীর সময় কামাখ্যা মন্দির এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। এখানে দেবী সতীর যোনি পড়েছিল। মনে করা হয়, অম্বুবাচীর সময় এখানে দেবী ঋতুমতী হন। তিন দিন মন্দির বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দিন মন্দির খোলে। শক্তি লাভের জন্য বহু তান্ত্রিক এ সময় তন্ত্র সাধনা করে থাকেন। রক্তভেজা তুলো প্রসাদ হিসেবে পাওয়ার জন্য ভক্তদের লাইন পড়ে যায়।
কালিকা পুরাণ অনুযায়ী কামাখ্যা মন্দির চারটি প্রাথমিক শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। পুরীর জগন্নাথ মন্দির, ওডিশার বিমলা মন্দির, ওডিশার পাশে তারা তারিণী ও কলকাতা দক্ষিণা কালিকা অন্যতম তিনটি মন্দির।