www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 11, 2024 8:56 am

খবরে আমরাঃ অম্বুবাচীর আজ শেষ দিন। রবিবার থেকে ফের মন্দিরে মন্দিরে শুরু হবে মায়ের পুজো। কিন্তু তার আগে শুরু হবে অম্বুবাচীর পরবর্তী বিশেষ পুজো, ভোগ। কিন্তু জানেন কি এই অম্বুবাচীর উৎপত্তিস্থল কামাখ্য। অধুনা অসম। গত ২২ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত এই অম্বুবাচী। এ সময় কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা হয় না। অম্বুবাচীর সময় গুয়াহাটির কামাখ্যা মন্দিরে প্রচুর ভক্ত এসে উপস্থিত হন। এ সময় এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। তিনদিন মন্দির বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দিনে স্নান ও পুজো সমাপ্ত হলে মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এই কামাখ্যা মন্দিরের সঙ্গে একাধিক রহস্য জড়িত। ১৮টি মহা শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম হল কামাখ্যা শক্তিপীঠ।

সমস্ত ১০৮টি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম কামাখ্যা মন্দির। অষ্টম শতাব্দীতে এই মন্দিরের উৎপত্তি হয়েছিল। ষোড়শ শতাব্দীতে কোচবিহারের রাজা নরনারায়ণ পুনরায় এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন। কামাখ্যা মন্দিরে দেবীর যোনি পূজিত হয়। গুহার এক কোণে গর্ভগৃহ। এ ছাড়াও মন্দিরে দেবী দুর্গার কোনও মূর্তি নেই। অম্বুবাচীর সময় এই মন্দির বন্ধ থাকে।

মন্দিরের সঙ্গে জড়িত কাহিনি

কামরূপে অবস্থিত কামাখ্যায় দেবী সতীর যোনি পড়েছিল। অম্বুবাচীর সময় কামাখ্যা মন্দির সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদী লাল হয়ে যায়। মনে করা হয়, দেবী ঋতুমতী হন বলে এ সময় ব্রহ্মপুত্রের জল লাল বর্ণ ধারণ করে। অনেকের ধারণা, মন্দিরের চারটি গর্ভগৃহের মধ্যে গরবর্গীহায় দেবী সতীর গর্ভ রয়েছে।

পুরাণ মতে, শিবের সঙ্গে সতীর বিবাহে অখুশি রাজা দক্ষ যজ্ঞের আয়োজন করলে শিব ও সতীকে আমন্ত্রণ জানান না। কিন্তু পিতৃগৃহে আসতে ইচ্ছুক ছিলেন সতী। তাই আমন্ত্রিত না-থাকা সত্ত্বেও তিনি পিতৃগৃহে এসে উপস্থিত হন। সেখানে রাজা দক্ষ তাঁর ও শিবের অপমান করেন। স্বামীর অপমান সহ্য করতে না-পেরে সতী যজ্ঞ কুণ্ডের আগুনে ঝাপিয়ে পড়েন। শিব সেখানে পৌঁছলে প্রথমে দক্ষের শিরোচ্ছেদ করেন। পরে সমস্ত দেবী-দেবতার মিনতি স্বীকার করে ছাগলের মাথা লাগিয়ে দক্ষকে পুনর্জীবিত করেন। এর পরই সতীর নিথর দেহ কোলে তুলে শিব সেখান থেকে বেরিয়ে যান ও তাণ্ডব করতে শুরু করেন। শিবের উগ্রমূর্তি দেখে চিন্তিত দেবতারা বিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। তখন বিষ্ণু নিজের সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর মরদেহের ১০৮টি টুকরো করে দেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সতীর শরীরের অংশ গিয়ে পড়ে। এই ১০৮টি টুকরোই শক্তিপীঠ নামে পরিচিত। এঁদের মধ্যে ১৮টি মহাশক্তিপীঠ রয়েছে, যার অন্যতম হল কামরূপ কামাখ্যা মন্দির।

কামাখ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী

প্রতি বছর অম্বুবাচীর সময় কামাখ্যা মন্দির এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়। এখানে দেবী সতীর যোনি পড়েছিল। মনে করা হয়, অম্বুবাচীর সময় এখানে দেবী ঋতুমতী হন। তিন দিন মন্দির বন্ধ থাকার পর চতুর্থ দিন মন্দির খোলে। শক্তি লাভের জন্য বহু তান্ত্রিক এ সময় তন্ত্র সাধনা করে থাকেন। রক্তভেজা তুলো প্রসাদ হিসেবে পাওয়ার জন্য ভক্তদের লাইন পড়ে যায়।

কালিকা পুরাণ
কালিকা পুরাণ অনুযায়ী কামাখ্যা মন্দির চারটি প্রাথমিক শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। পুরীর জগন্নাথ মন্দির, ওডিশার বিমলা মন্দির, ওডিশার পাশে তারা তারিণী ও কলকাতা দক্ষিণা কালিকা অন্যতম তিনটি মন্দির।
administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *