খবরে আমরাঃ অগ্নিপথের অগ্নিতে জ্বলছে রেল। রাজ্য সহ দেশজুড়ে অগ্নিপথের বিরোধিতায় সেনা চাকরীর প্রার্থীদের বিক্ষোভে বিপাকে পড়েছে রেল. আন্দোলন-বিক্ষোভের নামে ক্ষুব্ধদের কেন্দ্র বিন্দুতে রেল। তাঁদের লক্ষ ট্রেন। কোথাও রেল ্বরোধ, কোথাও ট্রেন আগুন। চুক্তিভিত্তিতে কেন নিয়োগ সেই প্রশ্নে কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে চলছে দেশ জুড়ে। চলছে বিক্ষোভ। সবচেয়ে প্রভাবিত দেশের রেলপথ। প্রভাব পড়ল কলকাতা এবং হাওড়়ার রেল পরিষেবাতেও। বাতিল হল একের পর এক দূরপাল্লার যাত্রিবাহী ট্রেন। কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করার ঘোষণা করল পূর্ব-মধ্য রেল।
শুক্রবার সকালে হাওড়়া এবং কলকাতা থেকে পাঁচটি ট্রেন বাতিল ঘোষণা করা হয়। এগুলি হল, হাওড়া-পটনা জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, নয়াদিল্লি দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-দেহরাদূন উপাসনা এক্সপ্রেস, কলকাতা-জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস, জশিডি-কিউল প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এর পর বিকেলে আরও ট্রেন বাতিল ঘোষণা করে পূর্ব-মধ্য রেল। এগুলি হল, ভাগলপুর-আনন্দবিহার বিক্রমশীলা এক্সপ্রেস, মুজফ্ফরপুর জনসেবা এক্সপ্রেস, বাঁকা-রাজেন্দ্রনগর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। এ ছাড়াও রয়েছে, জামালপুর-কিউল প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেন, শিয়ালদহ-বালিয়া এক্সপ্রেস এবং সাহেবগঞ্জ-জামালপুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেন।
অন্য দিকে, যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হয়েছে, আসোনসোল-ঝাঝা প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেনের। তালিকায় আছে মালদহ টাউন-কিউল ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। জয়নগর-হাওড়া এক্সপ্রেস পুরো যাত্রাপথ না গিয়ে থামবে কাহেলগাঁওয়ে। সাহিবগঞ্জ-ভাগলপুর স্পেশাল ট্রেন যাবে করমতলা পর্যন্ত। জামালপুর-সাহিবগঞ্জ প্যাসেঞ্জার, হটিয়া-পটনা পাটলিপুত্র এক্সপ্রেস, বর্ধমান-হটিয়া মেমু এক্সপ্রেস এবং রামপুরহাট-গয়া প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করার কথা ঘোষণা করেছে রেল।
শুরুটা হয়েছিল বিহারের ছপরা রেল স্টেশনে ট্রেন পোড়ানো দিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেন্দ্রের অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে অন্তত ৬টি ট্রেনে আগুন লাগালেন আন্দোলনকারীরা। শুক্রবার পুড়ল উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে দাঁড়ানো ট্রেন।
শুক্রবার সকালে পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের বালিয়া স্টেশনে একটি ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। ভাঙচুর করা হয় রেলস্টেশনও। পুলিশ এবং রেলরক্ষী বাহিনীর সদস্যেরা দ্রুত গিয়ে জ্বলন্ত কামরাগুলি সরিয়ে নিয়ে পরিস্থিতি সামলেছেন।
অন্য দিকে, তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে আগুন লাগানো হয় একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশন চত্বরেই আন্দোলনকারীরা ঢুকে পড়ে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে ‘অগ্নিকাণ্ড’ ঘটায়।