একাধিক মামলার জেরে আটকে প্রাথমিক-উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ। (Primary teacher recruitment)একাধিক রাজনৈতিক সমাবেশে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) হস্তক্ষেপে এই শূন্যপদে নিয়োগ হচ্ছে না বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা নিয়ে সোমবার পদক্ষেপ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
তাঁর মন্তব্য, “বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিকভাবে র্যাগিং করা হচ্ছে, এটা ভাবতে অবাক লাগছে। শিক্ষা দফতরের (education department) কোথায় কত শূন্য পদ রয়েছে, সেই সব বিষয়গুলি এবার সবিস্তারে জানতে চাইলেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ, কোথায় কত শূন্যপদ রয়েছে, তা ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে রাজ্যকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এদিন ডেকে পাঠিয়েছিলেন সরকারি আইনজীবী অনির্বাণ রায়কে।
বিচারপতি (Justice avijit Ganguly) বলেন, “১৮ হাজার চাকরি রয়েছে নাকি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনছি, সেগুলি মামলা চলার জন্য দেওয়া যাচ্ছে না।” এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির নির্দেশ, কোথায় কত পদ খালি রয়েছে, তা এবার জানাতে হবে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে।
প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং মাদ্রাসা, প্রতিটি ক্ষেত্রে কত শূন্য পদ রয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে হবে আদালতে। যদি স্কুলগুলিতে গ্রন্থাগারিকেরও কোন পদ খালি থাকে, তাও জানানো যেতে পারে বলে সোমবার বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে চলছে। তাই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি। মামলা চলার কারণে যাতে এই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ আটকে না থাকে, সেই বিষয়টি দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যদি মামলার জন্য বা আদালতের জন্য এত জনের চাকরি আটকে থাকে তাহলে বিষয়টি সিরিয়াস। যদি সত্যিই এই বিষয়টির কোনও বাস্তবতা থাকে, তাহলে এটি যাতে আটকে না থাকে সেই বিষয়টি দেখব।”
বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি হতে পারে না বলেও এদিন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, একুশে জুলাই মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (নাম না করে) (mamata banerjee) নাম না করে বলেন, বেশ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সংবাদ মাধ্যমে দাবি করছেন আদালতের হস্তক্ষেপের জন্য অনেকের চাকরি হচ্ছে না। তিনি স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেন।