সাধারণভাবে বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়ায় মন্দির দেখা যায়। তার প্রধান কারণ নির্জনে বসে ধ্যান করতে পারলে মনকে অনেক শান্ত করা যায়। আজ আমরা তেমনই এক মন্দিরের কথা বলবো। এই মন্দিরটি কালিম্পং শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বার্মেকের বিখ্যাত ঐতিহাসিক মহাদেব ধাম। এই মন্দির স্থাপনের নেপথ্যে রয়েছে একধিক কাহিনী। মন্দিরে সারা বছরই পুন্যার্থী এবং পর্যটকদের ভিড় থাকে। সমতলের পাশাপাশি অসম, নেপাল, সিকিম, বিহার থেকে দর্শনার্থীদের আগমন হয় কালিম্পংয়ের এই মহাদেব ধামে।প্রচলিত জনশ্রুতি, স্বয়ং মহাদেবের দর্শন পাওয়ার পর পাহাড়ের গা ঘেষে নির্মিত হয়েছিল ওই মন্দিরটি। সারা বছর তো বটেই বিশেষ করে শ্রাবণ মাসে মহাদেবের পূজো করতে পূন্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ে ওই মন্দিরে। ধামের ভিতরে একটি পাথরের চূড়া রয়েছে। স্থানীয়রা আবার অনেকে বিশ্বাস করেন, ওই শিবলিঙ্গটি নিজে থেকেই সেখানে উৎপত্তি হয়েছিল।
শিবলিঙ্গের উপর পাহাড় বেয়ে জল পড়ে। যে পাথরটি বেয়ে জল পরে সেটিতে আবার বাঘের চামড়ার ছাপ রয়েছে। কয়েকজন পাহাড়বাসীদের বিশ্বাস, এলাকার একজন মহিলা ঘাস কাটার সময় জঙ্গলের মধ্যে শিবলিঙ্গটি দেখেছিলেন। লিঙ্গটি দেখার পর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এরপর কিছুক্ষণ পর তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং গ্রামবাসীদের ঘটনা সম্পর্কে জানান ওই মহিলা। এরপর ১৯৮৪ সালে মহাদেব ধাম হিসেবে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয়রা। মহাদেব ধামটির সংরক্ষণের জন্য সরকার বা জেলা প্রশাসন যাতে এগিয়ে আসে তারই দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।