সনাতন ধর্মে পঞ্চ দেব ও ত্রিদেবের মধ্যে অন্যতম হলেন দেবাদিদেব মহাদেব। সনাতন ধর্ম অনুযায়ী মহাদেব সংহারের দেবতা। কৈলাস পর্বতে তাঁর বাস। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী কৈলাস পর্বতে বসবাস করেই মহাদেব একাধিক স্থানে আকাশ পথে ভ্রমণ করেন। কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে মর্ত্যের যে স্থানে মহাদেব পা রেখেছেন, সেখানেই তাঁর পদচিহ্ন রয়ে গিয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী ভারতের একাধিক স্থানে শিবের পদচিহ্ন বর্তমান। তেমনই একটি মন্দির আছে উত্তরাখন্ডে।
জাগেশ্বর ধাম –
উত্তরাখণ্ডের আলমোড়া থেকে ৩৬ কিলোমিটার দূপে জাগেশ্বর মন্দিরের পাহাড়ে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দূর জঙ্গলে এমন একটি স্থান রয়েছে, যেখানে শিবের পদচিহ্নের সাক্ষাৎ দর্শন করা যায়। পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী পাণ্ডবরা স্বর্গ যাত্রার সময় মোক্ষ প্রদানের জন্য তাঁদের দর্শন দেন মহাদেব। শিব দীর্ঘ দিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তার পর শিব ভীম ও অন্য পাণ্ডবদের প্রস্থান করতে বলেন। পাণ্ডব তাতে সম্মত হন না। শিবের সান্নিধ্য লাভের কামনা করেন। কিন্তু শিব তখন কৈলাস পর্বত গিয়ে ধ্যান মগ্ন হতে চাইছিলেন। এমন সময় শিব ভীমকে বিশ্রাম করতে বলেন এবং তাঁর চোখে ধুলো দিয়ে কৈলাস চলে যান। যেখান থেকে তিনি কৈলাসের জন্য প্রস্থান করেন, সেখানেই তাঁর একটি পায়ের চিহ্ন রয়েছে। নিজের দ্বিতীয় পা তিনি কৈলাস মানসরোবর ক্ষেত্রে রাখেন। এখানে তাঁর পায়ের চিহ্ন ১ ফুট লম্বা। উল্লেখ্য, যেখানে শিবের পদচিহ্ন রয়েছে, তার পাশেই ভীমের একটি মন্দিরও বর্তমান। এই মন্দিরে কোনও মূর্তি নেই।