www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2024 2:36 pm
ma sarada

রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Ramkrishna Paramhansa) সহধর্মিনী সারদা দেবী (Maa Sarada) মহাসমাধির আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের সন্তানদের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করে গিয়েছেন। সমগ্র জীবন ধরে সন্তানদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার সাধনায় ব্রতী ছিলেন তিনি। সহজ সরল ভাষায় ভগবত তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন তিনি। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকলকেই তিনি নিজের সন্তানরূপে গণ্য করতেন।

(প্রথম পর্ব)

ঠাকুর রামকৃষ্ণের ধর্মপত্নী মা সারদার কোনো প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও অত্যন্ত সহজ-সরল ভাষায় তিনি তাঁর মনের কথা সকলের কাছে বলে গেছেন। সেই কথার মধ্যে আছে ভারতীয় বেদান্ত দর্শনের মূল তত্ত্ব। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের (Ramkrishna Paramhansa) সহধর্মিনী সারদা দেবী (Maa Sarada) মহাসমাধির আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের সন্তানদের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করে গিয়েছেন। সমগ্র জীবন ধরে সন্তানদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার সাধনায় ব্রতী ছিলেন তিনি। সহজ সরল ভাষায় ভগবত তত্ত্ব প্রচার করেছিলেন তিনি। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকলকেই তিনি নিজের সন্তানরূপে গণ্য করতেন। তাঁর সেই মহান উক্তি –

* ”আমি সতেরও মা, অসতরেও মা। আমি সত্যিকারের মা; গুরুপত্নী নয়, পাতানো মা নয়, কথার কথা মা নয় – সত্যিকারের মা।” (Spiritual)

সারদা দেবী মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তাঁকে দেখতে আসলেন ভক্ত অন্নপূর্ণা। প্রথমে তাঁকে দেখতে দেওয়া না হলেও শেষ তাঁর পীড়াপীড়িতে তাঁকে সারদা দেবীর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হলো। মাকে দেখে অন্নপূর্ণার কান্না থামে না। তখন মা তাঁকে সামনে ডেকে বলেন,
*” ভয় কি? তুমি ঠাকুরকে দেখেছ, তোমার আবার ভয় কি?’ তবে একটি কথা বলি, ‘যদি শান্তি চাও মা, কারও দোষ দেখো না। দোষ দেখবে নিজের। জগৎকে আপনার করে নিতে শেখ। কেউ পর নয়, মা জগৎ তোমার।” (Spirituality)

তিনি সংসার ত্যাগের কথা কখনো বলেন নি। বলতেন,সংসার করো,কাজ করো আবার মন দিয়ে ভগবানকেও স্মরণ করো। ভগবান সকলকে মুক্তি দেবে।
*” মা সৌভাগ্যের জন্য এই জন্ম, খুব করে ভগবানকে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না-খাটলে কি কিছু হয়? সংসারে কাজকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয়।”

মা সারদা মানুষের মধ্যেই যথার্থ ঈশ্বরদর্শন পেয়েছিলেন। তাই তিনি বলতেন,
*” ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে ক’জনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কী করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা বলতে পারে ক’জনে?”

মা সারদা কাছ থেকেই কর্মের উৎসাহ পেয়েছিলেন স্বয়ং স্বামীজি। তাঁরা দুজনেই ছিলেন কর্মযোগী। মা বলতেন,
*” কাজ করা চাই বইকি, কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে। একদণ্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়।”

মানুষই নররূপ নারায়ণ। এই বিশ্বাস তিনি চিরকাল মনে রাখতেন। তাই ক্ষুধার্ত মানুষ দেখলেই তাঁর চোখে জল আসত। তিনি বলতেন-
*” একশো জনকে খাওয়াতে হবে না, কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্তকে দেখলে তাঁকে একটু খেতে দিও।”

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *