আর কয়েকদিনেই সাংসদ শিশির অধিকারী, (Sisir Adhikary) কোন দলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। পুত্র শুভেন্দু গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পরেই শিশিরকে নিয়ে শুরু হয় চাপানুতোর। বাবা শিশিরও গেরুয়ায় ঢলে পড়ায় তৃণমূল তার সাংসদ পদ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলে।
শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ (Loksava) খারিজের আর্জি নিয়ে তৃণমূলের আবেদনের শুনানি হবে আগামী বৃহস্পতিবার। লোকসভার সচিবালয় থেকে চিঠি দিয়ে এই কথা জানানো হয়েছে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Bandyopadhayay)। সে দিন স্বাধিকার রক্ষা কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করবেন সুদীপ।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শিশির-পুত্র শুভেন্দু অধিকারী (suvendu Adikary) তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। তার পর থেকেই কাঁথির অধিকারী বাড়ির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে শিশিরও অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির মঞ্চে উঠেছিলেন। বিধানসভা ভোটে শুভেন্দুকে জয়ী করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন শিশির। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগদান করার কোনও ঘোষণা তিনি করেননি। বিধানসভা ভোটের পর, দলত্যাগ বিরোধী আইনে শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে Speaker Om Birla) চিঠি দেন সুদীপ।
এই সংক্রান্ত আগের শুনানিতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন শিশির। ফলে সেই শুনানি হয়নি। কিছু দিন আগে দলবদলের বিষয় নিয়ে দ্রুত শুনানি হবে বলে জানিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার। তার পর, আবাও শিশির মামলার শুনানির উদ্যোগ নিলেন তিনি। তৃণমূলের তরফে তাদের লোকসভার দলনেতা সুদীপকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) উপস্থিত থাকতে বলেছেন স্পিকার। তৃণমূল সংসদীয় দল সূত্রে খবর, সুদীপ ওই বৈঠকে যোগ দেবেন।
কিন্তু শিশির কি উপস্থিত থাকবেন? কয়েক দিন আগেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (President Election) ভোট দিতে দিল্লি গিয়েছিলেন শিশির। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত এই শুনানি সংক্রান্ত কোনও চিঠি তিনি পাননি। তবে চিঠি পেলে অবশ্যই তিনি নিজের বক্তব্য রাখবেন বলে জানাচ্ছে ওই সূত্র।শিশির ছাড়াও আর এক তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডলের নামেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন সুদীপ। কিন্তু মাস কয়েক আগে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তোপ দেগে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ দাবি করেন, তিনি কখনও তৃণমূল ছাড়েননি।