www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

March 29, 2024 1:12 pm
কলকাতা হাইকোর্ট

বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর মন্তব্য করেন, মদন মিত্র, অনুব্রত মণ্ডল যখন এসএসকেএম- এ মেডিক্যাল সার্টিফিকেট করায় তখন ঠিক থাকে সব। শাসকদলের নেতৃত্ব তারা প্রভাব খাটিয়ে এসএসকেএম-এ গিয়ে রাজার হালে থাকছেন। সে মদন মিত্র হোক বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডল হোক, প্রত্যেকেই নিজ নিজ সেফটি জন হিসেবে বেছে নিচ্ছে এসএসকেএমকে।

সারদা-রোজভ্যালি-গরু পাচার মামলা। মদন মিত্র, অনুব্রত মন্ডলের পর এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ধরা পড়েই অসুস্থ আর তাঁদের ঠাঁই সেই এসএসকেএম হাসপাতাল। এবার তা নিয়ে তীর্যক মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের।

বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর মন্তব্য, ধরা পড়লেই শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে এসএসকেএম হাসপাতাল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে এসএসকেএম থেকে কেন্দ্রীয় হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য ইডির মামলায় এমনই মত প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর মন্তব্য, শাসকদলের নেতৃত্ব তারা প্রভাব খাটিয়ে এসএসকেএম-এ গিয়ে রাজার হালে থাকছেন। সে মদন মিত্র হোক বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডল প্রত্যেকেই নিজ নিজ সেফটি জন হিসেবে বেছে নিচ্ছেএসএসকেএমকে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করানো নিয়ে ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। তাদের অভিযোগ, সুনির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে কেন। রবিবার বিকেলে জরুরি ভিত্তিতে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে তার শুনানি হয়।

তাদের অভিযোগ, ইডির কাছে ভর্তি করানোর জন্য কোনও অভিযুক্তের আবেদনের প্রতিলিপি না দিয়ে এবং তাদের বক্তব্য না শুনেই নিম্ন আদালত এমন নির্দেশ দিয়েছে। তাদের আইনজীবী এন ভি রাজু ও ফিরোজ এদুলজি অভিযোগ করেন,  এই হাসপাতাল চিকিৎসার নামে স্কামকে ধামা চাপা দিতে চাইছে। তদন্তকারীদের হাসপাতালে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল সহযোগিতা করছে না তাদের সাথে। এই অভিযুক্ত প্রভাবশালী।

কিন্তু পাল্টা পার্থের আইনজীবী দেবাশিষ রায় অভিযোগ করেন,  তদন্তকারীরা আদালতে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। ইডি যে সার্টিফিকেট জমা করেছে চিকিৎসা সংক্রান্ত তা জাল। নিম্ন আদালতে কার্বন কপি প্লেস করা হলেও হাইকোর্টে আসল পেনে লেখা। তিনি জানান, ইডি এসএসকেএমের পরিবর্তে সেনা কমান্ড হাসপাতাল বা কল্যানীর এইমসে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিম্ন আদালতে যে আবেদন করেছে, তার আগামীকাল শুনানি রয়েছে।

কিন্তু  বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর মন্তব্য করেন, মদন মিত্র, অনুব্রত মণ্ডল যখন এসএসকেএম- এ মেডিক্যাল সার্টিফিকেট করায় তখন ঠিক থাকে সব। শাসকদলের নেতৃত্ব তারা প্রভাব খাটিয়ে এসএসকেএম-এ গিয়ে রাজার হালে থাকছেন। সে মদন মিত্র হোক বা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অনুব্রত মণ্ডল হোক, প্রত্যেকেই নিজ নিজ সেফটি জন হিসেবে বেছে নিচ্ছে এসএসকেএমকে।

এরপরেই বিচারপতি পাল্টা ইডিকে প্রস্তাব দেন দিল্লির এইমস বা ভুবনেশ্বরের এইমসের চিকিৎসকদের দিয়ে পার্থকে পরীক্ষা করানো হোক। ইডি দিল্লির বদলে কল্যানীর এইমসের নাম করলে তা বিচারপতি খারিজ করে দেন। জানান, কল্যানীর এইমস নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ইডি ভুবনেশ্বরে পার্থকে নিয়ে যেতে চাইলে বিচারপতি জানান, কোথাও নিয়ে যেতে অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা চাইলে ভুবনেশ্বর থেকে চিকিৎসক এনে দেখাতে পারেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *