খবরে আমরাঃ রাজ্য বিজেপির দুটি হাতিয়ার। সিবিআই আর কেন্দ্র। দুটোই প্রয়োগ করে ফেলেছে তারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যের রিপোর্ট তলব করেছেন আর সিবিআই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে হচ্ছে। তারপরেও মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপির সাংসদেরা। বুধবার একই ইস্যুতে শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তৃণমূল সাংসদেরা। ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন তাঁরা। এদিন সংসদে দাঁড়িয়ে এ কথা জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ সংসদে বলতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য় অনুযায়ী, ৭ দিনে বাংলায় ২৬টি রাজনৈতিক হত্যা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল সাংসদেরা।
বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বগটুই গ্রামের ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পারিবারিক বিবাদের এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি, সিপিএম রাজনৈতিক রঙ চড়ানোর চেষ্টা করছে।” এর পরই তিনি জানান, আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করব। তাঁকে বগটুইয়ের ঘটনা পুরোটা জানাব।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রামপুরহাট কাণ্ডের রিপোর্ট তলব করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের উচ্চপর্যায়ের আধিকারিকদের বগটুইয়ে পাঠানোর কথাও রয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে রামপুরহাটে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এর পরই সেই রাতে বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। যেখানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার আঁচ পৌঁছেছে দিল্লিতেও।
রাজধানীতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিজেপির প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সঙ্গে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা। এর পরই বগটুই গ্রামের ঘটনায় রিপোর্ট চেয়েছে শাহের মন্ত্রক। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ৫ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে বিজেপিও। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যাবেন তাঁরা।