খবরে আমরাঃ সম্প্রতি উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, মণিপুর ও গোয়াতে নির্বাচন হয়েছিল। চলতি মাসের ১০ তারিখ ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছিল, পাঁচ রাজ্যের একটিতেও কংগ্রেস ক্ষমতার ধারে কাছে নেই। কংগ্রেসের হাতে থাকা পঞ্জাবের মসনদও ছিনিয়ে নিয়েছিল আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে একে অপরেকে দোষারোপ বা দলের সাংগঠিক ব্যর্থতাকে বাহানা করে ভোটে পরাজয়ে মূল কারণ গুলি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলেই মত প্রকাশ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। পরাজয়ের পর দলের বিক্ষুব্দ জি-২৩ নেতাদের বুঝিয়ে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন কংগ্রসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ব্যাপক পরাজয়ের পর দল ও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল কংগ্রেস।
চলতি বছর ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর। স্বাভাবিকভাবে ভারতজুড়ে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ দিন সাড়ম্বরে পালিত হবে। এই স্বাধীনতা দিবসের এই বিশেষ দিনকেই হাতিয়ার করে দেশজুড়ে পদযাত্রার ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই পদযাত্রায় দেশের স্বাধীনতায় দলের অবদানকেও তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, এই বিশেষ পদযাত্রার মাধ্যমে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ও বার্তা দেওয়া হবে বলেই খবর। কংগ্রস সূত্রে খবর, ৬ এপ্রিল গুজরাটের গান্ধী আশ্রম থেকে ‘আজাদি গৌরব যাত্রা’ শুরু হয়ে জুনের ১ তারিখ রাজস্থান, হরিয়ানা হয়ে দিল্লিতে শেষ হবে। ১৭ এপ্রিল চম্পারণ থেকে ‘গান্ধী সন্দেশ যাত্রা’ শুরু হয়ে বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে মে মাসের ২৭ তারিখ কলকাতার বেলেঘাটাতে শেষ হবে। কংগ্রেস সূত্রে খবর এই পদযাত্রা গুলিতে শীর্ষ কংগ্রেস নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কংগ্রেস দেশের সব থেকে পুরানো দল। স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের অংশগ্রহণ দীর্ঘদিন কংগ্রেসকে ক্ষমতায় রেখেছে। তবে ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর যতদিন কেটেছে, কংগ্রেস তত বেশি ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে। একের পর এক কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে বিজেপি বা অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির হাতে চলে গিয়েছে। এমনকী কংগ্রেসে প্রবীণ নেতারাও দলীয় নীতি নির্ধারণ এবং দলের শীর্ষক্ষমতা একটি পরিবারের মধ্য কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেস এই পদযাত্রার মাধ্যমে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেটাই এখন দেখার।