খবরে আমরাঃ গত সপ্তাহে অ্যামাজ়ন প্রাইম ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘জলসা’। এই ওয়েব ফিল্মটিতে অভিনয় করেছেন শেফালি শাহ ও বিদ্যা বালন। সূক্ষ্ম মেসেজওয়ালা এই ছবিতে একেবারে নতুন অবতারে ধরা দিয়েছেন বিদ্যা-শেখালি। সমাজের দুই শ্রেণির নারীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন দুই দাপুটে অভিনেত্রী। শেফালিকে দেখা গিয়েছে এক পরিচারিকার চরিত্রে, যার নাম রুখসানা। বিদ্যা এক উচ্চ মধ্যবিত্ত মহিলা। তাঁর চরিত্রের নাম মায়া। মায়া মেমসাহব বলেও ডাকা যেতে পারে তাঁকে। মায়া একা নন। সঙ্গে রয়েছে তার পুত্র আয়ুশও। মায়া ও আয়ুশের দেখভাল করে রুখসানা। তাদের জন্য রান্না করে। তার আরও একটা মস্ত গুণ – যার বাড়িতেই কাজ করে না কেন, সেই বাড়ির মানুষগুলোকে বড্ড তাড়াতাড়ি আপন করে নেয়। আয়ুশের মতো শিশুও কিন্তু রুখসানার ভালবাসার মর্যাদা দিতে পারে। কিন্তু বড়রা পারে কি?
এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে ওয়েব ফিল্ম ‘জলসা’। কোনও পরিচারিকা বাড়িতে কাজ করতে এলে মালিকরা তাঁদের আদেশ করতে পছন্দ করেন, কিন্তু মানুষগুলোকে ভালবাসতে পারেন না। অনেকে আছেন সমাজের সামনে সম্মানের মুখোশ পড়ে থাকেন। কিন্তু সময় এলেই তাঁদের সেই মুখোশ ছিন্ন হয়ে যায়।
সেই ছিন্ন হয়ে যাওয়া চেহারাই ধরা পড়েছে ছবিতে। মায়া-রুখসানার চরিত্রের মাধ্যমে ধরা পড়েছে সমাজের কুৎসিততম রূপ। ছবিতে বিদ্যা-শেফালির অভিনয় নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। ‘শিক্ষিত’ সমাজটাই যে দয়ালু নয়, অল্প লেখাপড়া জানা মানুষগুলোর মধ্যেও যে ‘মান’ আর ‘হুশ’ ক্রমাগত কাজ করে, সেটা এই ছবিতে স্পষ্টই ধরা পড়েছে। ছবিটি একটি পাঠ শিখিয়েছে। পাঠ শিখিয়েছে মনুষ্যত্বের।