খবরে আমরাঃ দুর্গাপুজো মানেই বাঙালিদের শারদীয়া দুর্গোত্সবের কথাই মনে আসে। পাঁচদিন ধরে চলা ওই উত্সব বাংলা ধুমধাম করে চললেও অন্যান্য রাজ্য়ে টানা ৯দিন ধরে দেবী দুর্গার শক্তির আরাধনা চলে। তাই এই সময়টাকে নবরাত্রি বলা হয়। উল্লেখ্য, বছরের চারটি নবরাত্রি পালিত হয়। আর বিভিন্ন নবরাত্রির গুরুত্ব ও তাত্পর্য়ও আলাদা হয়।প্রথম নবরাত্রি আষাঢ় মাসে, দ্বিতীয়টি আশ্বিন মাসে, তৃতীয়টি মাঘ মাসে এবং চতুর্থ নবরাত্রি চৈত্র মাসে পড়ে। মাঘ এবং আষাঢ় নবরাত্রিগুলিকে গুপ্ত নবরাত্রি বলা হয়। কারণ এগুলি কম জনপ্রিয়। অন্যদিকে চৈত্র এবং আশ্বিনমাসের নবরাত্রিগুলি বেশি প্রচলিত৷
হিন্দু চন্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস চৈত্র মাসে চৈত্র নবরাত্রি পালন করা হয়৷ এই নয় দিনব্যাপী উৎসব শুরু হয় ফাল্গুন অমাবস্যা (অমাবস্যান্ত ক্যালেন্ডার অনুসারে) বা চৈত্র অমাবস্যা (পূর্ণিমন্ত ক্যালেন্ডার অনুসারে) পরে।এই এপ্রিল মাসেই আর কয়েকদিন পরেই শুরু হতে চলেছে চৈত্র নবরাত্রি। নবরাত্রির সময় মা দুর্গার নয়টি রূপের পূজা করা হয়।
চৈত্র নবরাত্রি কবে থেকে শুরু হবে? হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথি থেকে শুরু হয় চৈত্র নবরাত্রি।প্রথম দিন : ২ এপ্রিল – শৈলপুত্রী, নবরাত্রি ব্রতের শুরু হয় এদিন থেকে দ্বিতীয় দিন : ৩ এপ্রিল – ব্রহ্মচারিণী তৃতীয় দিন : ৪ এপ্রিল – চন্দ্রঘণ্টা চতুর্থ দিন : ৫ এপ্রিল – কুষ্মান্ডা পঞ্চম দিন : ৬ এপ্রিল – স্কন্দমাতা ষষ্ঠ দিন : ৭ এপ্রিল – কাত্যায়নী সপ্তম দিন : ৮ এপ্রিল – কালরাত্রি অষ্টম দিন : ৯ এপ্রিল – মহাগৌরী নবম দিন : ১০ এপ্রিল – সিদ্ধিদাত্রী দশম দিন: ১১ এপ্রিল- দশমী (নবরাত্রি ব্রতের শেষ দিন)
ঘটস্থাপনার সময় ২ এপ্রিল সকাল ৬টা ৩২ মিনিট থেকে ৮টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত। ঘটস্থাপন ও অভিজিৎ মুহুর্তের সময় – বেলা ১২টা ১৭ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ৭মিনিটের মধ্যে নিয়ম পালন করতে পারেন।