খবরে আমরাঃ কালনার কাউন্সিলরদের এবার কলকাতায় তলব। কালনার ১৭ জন কাউন্সিলরকে সোমবার কলকাতায় তলব করা হয়েছে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের। দলীয় সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। কলকাতায় ডাকা হয়েছে দল থেকে বহিষ্কৃত তপন পোড়েলকেও। কালনা পুরসভার বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, যে হই হট্টগোল হয়েছিল – তার জেরে জেলা শাসকের নির্দেশে পুরসভার বোর্ড গঠনের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল (সোমবার) কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে কালনার কাউন্সিলরদের। সূত্র মারফত যা খবর, কীভাবে কালনা পুরসভার বোর্ড গঠন করা হবে, কী পদ্ধতিতে করা হবে, কাকে পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান করা হবে, কোন কোন কাউন্সিলর পদ পাবেন, এই সব কিছুর বিষয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের থেকেই নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
১৬ মার্চ কালনায় দিনভর কার্যত নাটক চলে। পুরবোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে টানটান উত্তেজনা। কোনও পক্ষ একে অন্যকে জায়গা ছাড়তে নারাজ। দল যাঁকে পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করেছে, তাঁকে পছন্দ নয় অন্য পক্ষে। এরই মধ্যে অনিল বসু নামে এক কাউন্সিলর প্রতিবাদ জানাতে আজব কাণ্ড করে বসেন। দল মনোনীত চেয়ারম্যান পছন্দ না হওয়ায় পুরসভা ভবনের দোতলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। একেবারে পুরসভা ভবনের বারান্দার রেলিংয়ে উঠে গিয়েছিলেন তিনি। প্রায় ঝাঁপ দিতে যাবেন, তখনই তাঁকে সময় মতো আটকে দেন সেখানে উপস্থিত রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া রয়েছে, চেয়ারম্যান কিংবা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তৃণমূলের নেতৃত্ব যাকে ঠিক করবে, তাঁকেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু তারপরেও বুধবার কালনা পুরসভার পুরবোর্ডের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘিরে দিনভর নাটক চলে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার কোনও লক্ষ্মণই ছিল না। পুরসভার সামনে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সমর্থকরা। এরই মধ্যে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান বেছে নেওয়ার জন্য ভোটাভুটির সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচিত কাউন্সিলররা। যদিও পরে জেলাশাসকের নির্দেশে সেই ভোটাভুটি বাতিল হয়ে যায়। এরই মধ্যে আগামিকাল কলকাতায় যাচ্ছেন কালনার সব জয়ী কাউন্সিলররা।