খবরে আমরাঃ তিনি ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত। তিনি আবার বর্ধমান পৌরসভা ২৭ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বসিরউদ্দিন আহমেদ ওরফে বাদশা। পুলিশ তাঁকে নাকি হন্যে হয়ে খুঁজছে। তিনি সরকারি খাতায় কলমে পলাতক। তবু এই কীর্তিমান কাউন্সিলর সকলের কাছে লুকিয়ে শপথ নিলেন পুরসভার কাউন্সিলর হিসাবে। পুলিশ অবশ্য ছিল। কিন্তু যা হয়। পুলিশ নাকি তাঁকে দেখতেই পায়নি। সেটা নাকি ঘটেছে গোপনেই। শাসক দলের কাউন্সিলর মায় বিধায়কের ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত তিনি। তাই পুলিশ তাঁকে দেখতেই পায়নি। বর্ধমান পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বি.এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী তুহিনা খাতুনের মৃতদেহ পাওয়া যায় বাড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায়। দিদি কুহেলি বিবি এর জন্য বাদশাকেই দায়ী করেন. তাঁর বিরুদ্ধে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ আনেন। দাবি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় বোন আত্মহত্যা করেছে। দাবী, প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই তুহিনা ও তাঁর দুই বোনকে হুমকি শুরু হয়। প্রাণনাশ ও মারধরের ভয় দেখাতে দেওয়ালে ছবি আঁকা হয়।
বাদশা ভাইয়ের এই কীর্তি নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে রাজ কলেজের টিচার ইন চার্জকে রিভলবর নিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সেবার অবশ্য পুলিশ কিছু না করলেও দল শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা নেয়। সেই ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।