খবরে আমরাঃ সরকারি অধীনস্থ বাস। তাই সরকারি নিয়ম মেনে হয়না ফিটনেস, পলিউশনের মতো সরকারি বাসের পরীক্ষা। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট এসবিএসটিসির কাছে হলফনামা তলব করেছে। এরই মাঝে আজ সাঁতরাগাছি ব্রিজে হঠাৎই আগুন লেগে যায় চলন্ত সরকারি বাসের ইঞ্জিনে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার ভয় আতঙ্কিত যাত্রীরা ছুটোছুটি শুরু করে দেন। তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহতও হন ২ যাত্রী। পরে অবশ্য হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে বাসটিতে যাতে আগুন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তৎপর হন কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। তাঁরাই দশ মিনিটের মধ্যে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার বিকেল পৌনে ৫টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। আমতা-ধর্মতলা রুটের সরকারি বাসটি কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আমতা থেকে ধর্মতলার দিকে যাচ্ছিল। সাঁতরাগাছি ব্রিজে উঠতেই বাসটির ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দেয়। ধোঁয়া বেরোতে থাকে। আগুনের স্ফুলিঙ্গও দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বাসটিকে ব্রিজের উপর দাঁড় করিয়ে চালক ও কন্ট্রাক্টর তড়িঘড়ি যাত্রীদের নামিয়ে দেন। বাসটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা। নিজেরা জল দেওয়ার পাশাপাশি খবর দেন দমকলে। দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই পুলিশ জল দিয়ে আগুন নিভিয়ে বাসটিকে ক্রেন দিয়ে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে তড়িঘড়ি নামতে গিয়ে পড়ে হাতে-পায়ে চোট পান ডোমজুড়ের বাঁকড়া খাঁ পাড়ার বাসিন্দা বাবা ও ছেলে। বাবা আব্দুর রহিম মোল্লা (৪৬) ও ছেলে ফারহান মোল্লা (১৯)-কে পুলিশই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনার জেরে কিছুক্ষন সাঁতরাগাছি ব্রিজ ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট তৈরি হয়। তবে খুব দ্রুতই পুলিশ বাসটিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কোনা ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ দ্রুত এসে পড়ায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান ওই বাসের যাত্রীরা।