ডুয়ার্সে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বনদপ্তরের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় হাতি পূজার।এই পুজোয় সামিল হলেন বনকর্মীদের পাশাপাশি বনবস্তির বাসিন্দা সহ পর্যটকরা। এদিন গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের মোট তিনটি বিটে ২৮ টি হাতির পুজো হয়।প্রতিবছরই বিশ্বকর্মা পূজার দিন ডুয়ার্সের গরুমারা, ধূপঝোড়া,বুধরাম বিটে হাতি পুজো হয়। পাশাপাশি পুজো উপলক্ষে কুনকি হাতিদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল স্পেশ্যাল মেনুরও।
এদিন ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোড়ার এলিফ্যান্ট ক্যাম্প গাছবাড়িতে হিলারি, জেনি, বসন্ত, ডায়না, কাবেরী, হিরালি, ফাল্গুনী, ফুলমতি, মাধুরী, বিজয়া সহ বন দফতরের মোট ৯ টি পোষ্য কুনকি হাতিদের মালা পরিয়ে, সাজিয়ে পুজো করলেন মাহুত ও বনকর্মীরা।
পুজো উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই ধূপঝোড়া, রামশাই, গরুমারা ও মেদলার কুনকি হাতিদের নিয়ে মাহুতদের ব্যস্ততা ছিল চরমে। কুনকি হাতিগুলিকে প্রথমে মূর্তি নদীতে ভালো করে স্নান করিয়ে হাতিদের গায়ে নকশা এঁকে সাজানো হয়। এরপর প্রতিটি হাতির গায়ে লিখে দেওয়া হয় তাদের নাম। এরপর নিয়ে আসা হয় পুজো মণ্ডপে। শাঁখ বাজিয়ে, উলুধ্বনি দিয়ে চলে পুজো। পুরোহিত সমস্ত নিয়মনীতি মেনে, মন্ত্রোচ্চারণ করে পুজোর কাজ সারেন।আর এই হাতি পুজো দেখতে পর্যটকদের ভিড় জমেছিল গরুমারা, ধূপঝোড়ায় পর্যটকদের পাশাপাশি আশেপাশে গ্রামের মানুষজনও প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটিতে হাতি পুজো দেখতে চলে আসেন পিলখানায়। পুজো উপলক্ষে খিচুড়ি প্রসাদও বিতরণ করা হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এভাবে হাতি পুজো দেখে রীতিমতো খুশি ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকরা।