সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটা টুইট। তাতেই আসমুদ্রহিমাচল যেন চমকে গেল। সর্বত্র আলোচনা শুরু হয়ে গেল। বলাবলি হতে শুরু করল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেট প্রশাসন ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বলে দিলেন রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ হচ্ছেন তিনি। কিন্তু সত্যিটা কী? সৌরভ কি সত্যিই রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন, নাকি তাঁর ওই টুইটে অন্য কোনও ইঙ্গিত ছিল? শেষ পর্যন্ত নিজেই রহস্যের সমাধান করেছেন বিসিসিআই সভাপতি। জানিয়েছেন, তাঁর নতুন ইনিংস আসলে ব্যবসায়ীক পদক্ষেপ। একটি আন্তর্জাতিক মানের এডুকেশনাল অ্যাপ তৈরি করছেন তিনি।
আসলে বুধবারের আচমকা টুইটে সৌরভ বলেন, ”গত ৩০ বছরে ক্রিকেট আমাকে অনেককিছু দিয়েছে। এবার নতুন কিছু শুরু করতে চাই। এমন কিছু করতে চাই যা মানুষের উপকার করবে।” মহারাজের এই টুইটের পর দু’টি সম্ভাবনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন ফেলে দেয়। এক, বিসিসিআই সভাপতির পদ ছেড়ে দিচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দুই, রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি। আরও একটি সম্ভাবনার কথা, কোনও কোনও মহল বলছিল সেটা হল সৌরভের এই টুইট স্রেফ এক গুগলি। নেহাতই বিজ্ঞাপনী চমক। এর সঙ্গে বিসিসিআই বা রাজনীতির কোনও যোগ নেই।
প্রথম সম্ভাবনাটি প্রথমেই খারিজ হয়ে যায়। সৌরভ বিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়েননি। বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah) নিজেই সেকথা জানান। রইল বাকি দ্বিতীয় সম্ভাবনার কথা। সৌরভ রাজনীতিতে যোগ দিতেই পারেন। কিন্তু সেজন্য তাঁর ক্রিকেটের সঙ্গে বা ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার কোনও প্রয়োজন নেই। শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) থেকে রাজীব শুক্লা, এমন অনেক রাজনীতিবিদ আছেন যারা একাধারে ক্রিকেট প্রশাসক এবং রাজনীতিবিদের ভূমিকা পালন করেছেন। তাছাড়া সৌরভের মতো মহারথী স্রেফ একটি টুইট করে রাজনীতিতে যোগ দেবেন, বা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে এভাবে ‘টিজার’ দেবেন, সেটা অকল্পনীয়।
তাহলে পড়ে রইল তৃতীয় সম্ভাবনা। বিসিসিআই সভাপতির এই টুইট স্রেফ বিজ্ঞাপনী চমক। আসলে সেটাই ঠিক। সৌরভ নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর টুইটের সঙ্গে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা বিসিসিআইয়ের পদ ছাড়ার কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে তিনি একটি আন্তর্জাতিক মানের এডুকেশনাল অ্যাপ লঞ্চ করতে চলেছেন। এটা সেটারই বিজ্ঞাপনী চমক।