www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 5, 2024 12:46 am
krishna

২৭ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে রাস পূর্ণিমা। এই বিশেষ দিনে ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে রাস উত্‍সব পালন করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এই বিশেষ দিনেই রাধা ও অন্য গোপীনিদের সঙ্গে রাসলীলায় মেতে উঠেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।

২৭ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হবে রাস পূর্ণিমা। হিন্দু ধর্মে এই পূর্ণিমা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাস মূলত বৈষ্ণব ধর্মের উৎসব। বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় শ্রীকৃষ্ণের প্রেম প্রকৃতির উৎসব। এই দিন গোপিনীদের সহযোগে রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয়। তবে এই রাস উৎসব নিয়ে পুরাণে বিভিন্ন মতভেদ আছে। কোথাও শারদ রাস, আবার কোথাও বসন্ত রাসের উল্লেখ পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস। আবার মনে করা হয় ‘রস’ থেকেই এসেছে ‘রাস’। হেমন্ত ঋতুর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উত্‍সব হল রাস। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীরাধা এই দিনটিতে পূজিত হন। বৈষ্ণব তীর্থক্ষেত্র ও বিভিন্ন কৃষ্ণ মন্দিরগুলিতে মহা সমারোহ সহকারে রাস উত্‍সব পালন করা হয়।

এই বছর রাস পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার সকাল ৩/১৩/১৯ মিনিটে৷

পূর্ণিমা ছেড়ে যাচ্ছে ২৭ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার দুপুর ২/১২/৫৯ মিনিটে৷

উদয়া তিথি অনুসারে রাস পালন করা হবে ২৭ নভেম্বর সোমবারে।

পুরাণ অনুসারে বৃন্দাবনে থাকাকালীন শ্রীকৃষ্ণ গোপিনীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তাঁদের মনের সব ইচ্ছে পূরণ করবেন এবং তাঁদের সঙ্গে রাসলীলা করবেন। সেই প্রতিজ্ঞা রাখতেই কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে রাধা ও অন্য গোপিনীদের সঙ্গে রাসলীলা করেছিলেন কৃষ্ণ। সেই থেকে শুরু হয় প্রেমের উত্‍সব রাস।

রাস উত্‍সবের উত্‍পত্তি

এটি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে অন্যতম প্রধান উৎসব। পুরাণ অনুসারে বৃন্দাবনে থাকাকালীন শ্রীকৃষ্ণ গোপিনীদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি তাঁদের মনের সব ইচ্ছে পূরণ করবেন এবং তাঁদের সঙ্গে রাসলীলা করবেন। সেই প্রতিজ্ঞা রাখতেই কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে রাধা ও অন্য গোপিনীদের সঙ্গে রাসলীলা করেছিলেন কৃষ্ণ। সেই থেকে শুরু হয় প্রেমের উত্‍সব রাস।

প্রচলিত বিশ্বাস (Hindu Mythology) অনুসারে রস থেকেই রাস কথাটি এসেছে। প্রেমের রসে মাখা এই উত্‍সব তাই রাস (Ras Utsav) নামে পরিচিত। শোনা যায় স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব (Sri Sri Chaitanya dev) নবদ্বীপে (Nawadip) এই উত্‍সবের সূচনা করেন। অনেকের মতে, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস। পুরাণে শারদ রাস ও বসন্ত রাসের উল্লেখ রয়েছে। এটি সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বাৎসরিক উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় এই উৎসব পালন হয়। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রে পরবর্তী সময়কালে বাংলায় রাস উৎসবের বহুল প্রচলন ঘটে। নদিয়ার শান্তিপুর ও নবদ্বীপে টানা তিন থেকে চারদিন মহা সমারোহে পালিত হয় রাস উৎসব। উৎসবের শেষ দিন বের হয় শোভাযাত্রা। উত্তরপ্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে (Vrindaban) , এছাড়া ওড়িশা, অসম ও মণিপুরে রাসযাত্রার বিশেষ ভাবে পালিত হয়।

এই পূর্ণিমা তিথি কার্তিক পূর্ণিমা (Kartick Purnima) নামেও পরিচিত। মনে করা হয় এই পূর্ণিমায় উপবাস করলে একশো অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পূণ্যফল লাভ করা যায়। এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করা শুভ বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। হিন্দুধর্মে এই পূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই দিনে ভগবান শিব (Siva) ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত।

রাস উত্‍সবের ইতিহাস

প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে রস থেকেই রাস কথাটি এসেছে। প্রেমের রসে মাখা এই উত্‍সব তাই রাস নামে পরিচিত। শোনা যায় স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব নবদ্বীপে এই উত্‍সবের সূচনা করেন। অনেকের মতে, ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস। পুরাণে শারদ রাস ও বসন্ত রাসের উল্লেখ রয়েছে। এটি সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি বাৎসরিক উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের (Sri Krishna) ব্রজলীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় এই উৎসব পালন হয়। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রে পরবর্তী সময়কালে বাংলায় রাস উৎসবের বহুল প্রচলন ঘটে। নদিয়ার শান্তিপুর ও নবদ্বীপে টানা তিন থেকে চারদিন মহা সমারোহে পালিত হয় রাস উৎসব। উৎসবের শেষ দিন বের হয় শোভাযাত্রা। উত্তরপ্রদেশের মথুরা ও বৃন্দাবনে, এছাড়া ওড়িশা, অসম ও মণিপুরে রাসযাত্রার বিশেষ ভাবে পালিত হয়।

রাস পূর্ণিমার তাৎপর্য

এই পূর্ণিমা তিথি কার্তিক পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। মনে করা হয় এই পূর্ণিমায় উপবাস করলে একশো অশ্বমেধ যজ্ঞের সমান পূণ্যফল লাভ করা যায়। এই দিনে সূর্যোদয়ের আগে ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করা শুভ বলে ধর্মীয় বিশ্বাস। হিন্দুধর্মে এই পূর্ণিমার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে এই দিনে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুর নামে এক রাক্ষসকে বধ করেছিলেন। তাই এই পূর্ণিমা ত্রিপুরী বা ত্রিপুরারি পূর্ণিমা নামেও অনেক জায়গায় পরিচিত। আবার অন্য একটি কিংবদন্তি বলছে যে এই দিনে শ্রীবিষ্ণু মৎস্য অবতার গ্রহণ করেছিলেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *