www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 26, 2024 5:53 pm
maa kalratri

মন্ত্র- ওঁ দেবী কালরাত্রৈ নমঃ।। হ্রীং কালরাত্রি শ্রীং করালী চ ক্রীং কল্যাণী কলাবতী। কৃপাময়ী কৃপাধারা কৃপাপারা কৃপাগমা |।

নবদুর্গার অন্যতম এক রুপ। কথিত আছে চন্ড-মুন্ড নামক দুই অসুর মা কালীর ভয়ে ভীত হয়ে সমস্ত ব্রহ্মান্ডে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। তখন মা কালী অতিশয় ক্রুদ্ধা হয়ে নিজের মাথার কেশ উৎপাটন করলেন। সেই কেশ মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেবী কালরাত্রির সৃষ্টি হল।

সেই কালরাত্রি দেবী চন্ড (Chanda)ও মুন্ডকে ধরে নিয়ে এলেন এবং সেই অসুরদ্বয়ের শিরচ্ছেদ করলেন মা কালী। মা কালীরই আরেক রূপ কালরাত্রি দেবী। বড় ভয়ঙ্করী এই মূর্তি, ধ্যানবর্ণনা অণুযায়ী। এঁর গায়ের রং ঘনকৃষ্ণবর্ণা।

মাথার চুল এলো করা, দিগম্বরী, সারা শরীরে কর্ণিকা কণ্টকের মালা, তৈলাক্ত শরীর, ত্রিনেত্রা, কোটরাগত গোল চোখ, শ্বাসপ্রশ্বাসে আগুনের মতো হল্কা বের হচ্ছে। এঁর বাহন গর্দভ। চতুর্ভুজা, দক্ষিণ দুই হাতে বরাভয়, বাম দুই হাতে খড়গ ওলোহার কাঁটা। ত্রিনেত্রা দিয়ে তিনি ত্রিলোক দর্শন করেছেন, সদা জাগ্রতা, রক্ষা করেছেন, চন্দ্র-সূর্য-অগ্নি তাঁর নেত্র, জীবকে সর্বদা সর্বোতভাবে পালন করছেন তাঁর ত্রিনেত্রে। রুধিরাক্ত ওষ্ঠদ্বয় সদা দন্তপংক্তিতে চেপে রেখেছেন। (Spiritual) লাল রক্ত রজোগুণের, আর সাদা দাঁত সত্ত্বগুণের প্রতীক। সত্ত্বগুণ দিয়ে রজোগুণকে অভিভূত করে রেখেছেন।

দুর্গার (Maa Durga) সপ্তম রূপ কালরাত্রির (CHaitra Navratri) আরাধনা করা হয়। দেবীর এই ভয়ংকর রূপের কারণেই কালরাত্রি বলা হয়। কারণ দেবীর গায়ের রং অন্ধকারের মত কালোষ সপ্তমী তিথির পুজো দুর্গাপুজোর অন্যান্য দিনের মত সকালেই পুজো করা হয়। তবে পাত্রে বিশেষ পুজো আচারের সঙ্গে দশভুজার আরাধনা করা হয়। দেবীর এই রূপের পূজকরা কালের হাত থেকে রক্ষা পান। তার মানে যাঁরা কালরাত্রির পুজো করেন, তাঁদের অকাল মৃত্যু হয় না।

দেবী কালরাত্রি (Maa Kalratri)

দেবীর এই রূপের প্রচণ্ড ভীতিপ্রদ রূপ। নামের সঙ্গে দেবীর গায়ের রঙ অন্ধকারের মত ঘোর কালো। পুরাণ অনুসারে দুই রাক্ষস শুম্ভ ও নিশুম্ভর দৈত্যসেনাকে দেখে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে এই ভয়ংকর রূপ ধারন করেন দেবী। শ্যামলা রূপ থেকেই কালরাত্রি দেবীর আর্বিভাব।

দেবী কালরাত্রির চুল বিক্ষপ্ত, গলায় মালা বিদ্যুতের মত উজ্জ্বল। সকল অসুর শক্তির বিনাসকারীও বলা হয়। এই দেবীর পুজো করা হয় সাধারণত রাতে। ‘ওম হ্রীম ক্লেইন চামুন্ডায়াই বিচাই ওম কালরাত্রি দৈব্যে নমঃ এই মন্ত্র জপ করলে দেবীর আশীর্বাদ পাওয়া যায় বলে ধারনা।

কালরাত্রি দেবী সিদ্ধমন্ত্র জপের মাধ্যমেই অশুভ শক্তির বিনাস হয়। এই ভয়ংকর রূপ ভক্তদের কাছে মাতৃরূপ বলে বোঝানো হয়, তাই দেবীকে শুভংকরীও বলা হয়। এছাড়া কালরাত্রিকে সকল সিদ্ধির দেবী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। তন্ত্রশাস্ত্র মতে, তন্ত্রসাধকরা সিদ্ধমন্ত্র জপ করে বিশেষ পুজো করেন। ভূত, প্রেত, প্রেতাত্মা, রাক্ষস ও সমস্ত পৈশাচিক শক্তির বিনাস হয়।

দেবী কালরাত্রির চারটি হাত। এক হাতে অসুরের ঘাড় ধরে থাকে, অন্যহাতে তরবারি দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ভয়ংকর রূপ নিয়ে ধ্বংস করে। কালিকার বাহন হল গাধা বা গর্ধভ। যে প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমী ও নির্ভীক।

এদিন দেবীকে লেবু ও লাল জবা ফুলের মালা ও তেলের প্রদীপ দিয়ে পুজো করুন। আরতি করার সময় সিদ্ধ পঞ্জিকা স্ত্রোত, কালী পুরাণ, কালী চালিসা, অর্গলা স্ত্রোতম পাঠ করার নিয়ম। এদিনের পুজোয় নৈবেদ্য় হিসেবে গুড় ও গুড়ের তৈরি উপাদেয় খাবার নিবেদন করা উচিত।

 

(সংগৃহীত)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *