www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

December 4, 2024 7:30 am
মা সন্তোষীর ব্রতকথা (Ma Santoshi)

মা সন্তোষীর (Ma Santoshi) পূজাতে টক বস্তু, আমিষ দ্রব্য প্রদান নিষেধ । সাধারণত আমিষ দ্রব্যকে তমঃ গুন সম্পন্ন আহার বলা হয়। টক পদার্থ হল রজগুনী আহার। মিষ্ট দ্রব্য হল সত্ত্ব গুনী আহার । মায়ের ভক্তদের ঐ তম, রজ গুনের ওপরে সত্ত্ব গুনে অধিষ্ঠিত হতে হয় । তাই ভক্ত গন মাকে কেবল মিষ্ট দ্রব্য ভোগে অর্পণ করেন। মায়ের প্রসাদ গো জাতীয় প্রানীকে অল্প প্রদান করার নিয়ম।

পৌরাণিক উপাখ্যান
বৃহদ্ধর্ম পুরাণ–এ বর্ণিত কাহিনি অনুসারে, শিব ও তাঁর স্ত্রী তথা পার্বতীর পূর্বাবতার দাক্ষায়ণী সতীর মধ্যে একটি দাম্পত্য কলহ দশমহাবিদ্যার উৎস। সতীর পিতা দক্ষ শিব ও সতীর বিবাহে মত দেননি। তাই তিনি যখন যজ্ঞের আয়োজন করেন তখন নববিবাহিত শিব-সতীকে আমন্ত্রণ জানান না। সতী বিনা আমন্ত্রণেই পিতৃগৃহে যেতে চাইলে শিব বারণ করেন। ক্রুদ্ধ সতী স্বামীর অনুমতি আদায়ের জন্য তৃতীয় নয়ন থেকে আগুন বের করতে থাকেন এবং কালী বা শ্যামায় রূপান্তরিত হন। এই মূর্তি দেখে ভীত শিব পলায়ন করতে গেলে সতী দশ মহাবিদ্যার রূপ ধারণ করে শিবকে দশ দিক দিয়ে ঘিরে ফেলেন। এরপর শিব তাঁকে দক্ষযজ্ঞে উপস্থিত থাকার অনুমতি দান করেন।

পূজা পদ্ধতি
মা সন্তোষীর (Ma Santoshi) পূজাতে টক বস্তু, আমিষ দ্রব্য প্রদান নিষেধ । সাধারণত আমিষ দ্রব্যকে তমঃ গুন সম্পন্ন আহার বলা হয়। টক পদার্থ হল রজগুনী আহার। মিষ্ট দ্রব্য হল সত্ত্ব গুনী আহার । মায়ের ভক্তদের ঐ তম, রজ গুনের ওপরে সত্ত্ব গুনে অধিষ্ঠিত হতে হয় । তাই ভক্ত গন মাকে কেবল মিষ্ট দ্রব্য ভোগে অর্পণ করেন। মায়ের প্রসাদ গো জাতীয় প্রানীকে অল্প প্রদান করার নিয়ম। কারন গো মাতা হিন্দু দিগের আরাধ্য। গো জাতিকে রক্ষা ও ভরন পোষণের জন্য এই নিয়ম । প্রতি শুক্রবারে মায়ের ব্রত করার নিয়ম। মায়ের পূজোতে সরিষার তৈল নিষেধ। ঘিয়ের প্রদীপ দিতে হয়। সরষের তেল রজ গুনী। তাই একাদশী তিথিতে সরিষার তৈল বর্জনীয় । শুক্রবারে স্নান সেড়ে শুদ্ধ বস্ত্রে মায়ের পূজো করতে হবে। তিথি নক্ষত্র দোষ নেই এই পূজাতে।
সাধারণত উদযাপন ছাড়া এই পূজোতে পুরোহিত লাগে না। সবাই করতে পারবেন । খেয়াল রাখবেন এই দিন গৃহে কোন সদস্য বা যিনি ব্রত পূজা করবেন- ভুলেও যেনো টক পদার্থ না গ্রহণ করেন। অনান্য সদস্য গন হোটেলে বা রেষ্টুডেন্ট, বিয়ে , অন্নপ্রাশনে খাবেন না। ঘট স্থাপন করবেন বট, কাঠাল, পাকুড় পল্লব দ্বারা। আম পল্লব দেবেন না । পূজোতে সব পুষ্পই চলবে। বিল্বপত্র আবশ্যক । ঘটে পুত্তলিকা অঙ্কন করবেন সিঁদুরে ঘি মিশিয়ে। ঘি প্রদীপ পূজাতে ব্যবহার করবেন । ঘটে গোটা ফল হিসাবে কলা দেবেন । এরপর আচমন , বিষ্ণু স্মরণ, আসন শুদ্ধি, সূর্য অর্ঘ, সঙ্কল্প করে গুরুদেব ও পঞ্চ দেবতার পূজা করে মায়ের পূজা করবেন । ধ্যান মন্ত্র প্রনাম মন্ত্র বলবেন । মনের প্রার্থনা মায়ের চরণে জানাবেন। পূজা শেষে মায়ের প্রসাদ গোমাতা কে অল্প দিয়ে নিজে গ্রহণ করবেন ।
এই ভাবে ১৬ শুক্রবার ব্রত করবেন । ভোগে দেবেন ভেজানো ছোলা ও আঁখের গুড়। ইচ্ছা হলে মিষ্ট ফল নিবেদন করতে পারেন । শুক্রবার যিনি ব্রত করবেন সারা দিন উপবাস থাকবেন । দুধ, ছোলা ঘিতে আলু সহিত ভেজে, মিষ্ট ফল, জল গ্রহণ করবেন । অসমর্থ হলে একবেলা উপবাস রেখে অপর বেলা আলু সেদ্ধ, ঘি, আতপ অন্ন গ্রহণ করতে পারেন । ১৬ শুক্রবার ব্রত হলে উদযাপন করবেন । উদযাপনের দিন ৭ টি বালককে ভোজোন করাবেন । খেয়াল রাখবেন সাত বালক যেনো সেই দিন টক বস্তু না খায় । উদযাপনের দিন ১৬ টি নিমকী চিনির রসে ডুবিয়ে মায়ের কাছে উৎসর্গ করবেন। ছানা থেকে তৈরী কোন মিষ্টি মাকে দেবেন না। উদযাপনের দিন মায়ের কাছে একটি নারকেল ফাটিয়ে নারকেলের জল মায়ের চরণে দেবেন । নারকেল মায়ের সামনে ফাটাবেন এক আঘাতে। ফাটানোর সময় মায়ের নামে জয়ধ্বনি দেবেন । এই ভাবে মা সন্তোষীর ব্রত করুন। দেখবেন মায়ের কৃপায় আপনার জীবন সুখে শান্তিতে ভরে যাবে । মায়ের কৃপায় সব অমঙ্গল, দুঃখ, অশান্তি নষ্ট হবে ।

সন্তোষী মায়ের অষ্টোত্তর শত নাম ১০৮ নাম:

(১)সতী(২)সাধ্বী,(৩)ভবপ্রীতা(৪)ভবানী(৫)ভবমোচনী(৬)আর্য্যা(৭)দুর্গা(৮)জয়া(৯)আদ্যা (১০)ত্রিনেত্রা(১১)শূলধারিণী(১২)পিনাকধারিণী(১৩)চিত্রা(১৪)চন্দ্রঘণ্টা(১৫)মহাতপা(১৬)মনঃ(১৭)বুদ্ধি(১৮)অহঙ্কারা(১৯)চিত্তরূপা(২০)চিতা (২১)চিতি(২২)সর্বমন্ত্রময়ী(২৩)নিত্যা (২৪)সত্যানন্দস্বরূপিণী(২৫)অনন্তা(২৬)ভাবিনী (২৭)ভাব্যা(২৮)ভব্যা(২৯)অভব্যা(৩০)সদাগতি(৩১)শাম্ভবী(৩২)দেবমাতা(৩৩)চিন্তা(৩৪)রত্নপ্রিয়া(৩৫)সর্ববিদ্যা(৩৬)দক্ষকন্যা(৩৭)দক্ষযজ্ঞবিনাশিনী(৩৮)অপর্ণা(৩৯)অনেকবর্ণা(৪০)পাটলা(৪১)পাটলাবতী(৪২)পট্টাম্বরপরিধানা (৪৩)কলমঞ্জীররঞ্জিনী(৪৪)অমেয়বিক্রমা(৪৫) ক্রূরা(৪৬)সুন্দরী(৪৭)সুরসুন্দরী(৪৮)বনদুর্গা(৪৯)মাতঙ্গী(৫০)মতঙ্গমুনিপূজিতা(৫১) ব্রাহ্মী(৫২)মাহেশ্বরী(৫৩)ঐন্দ্রী(৫৪)কৌমারী (৫৫)বৈষ্ণবী(৫৬)চামুণ্ডা(৫৭)বারাহী(৫৮)লক্ষ্মী (৫৯)পুরুষাকৃতি(৬০)বিমলা(৬১)উৎকর্ষিণী (৬২)জ্ঞানা(৬৩)ক্রিয়া(৬৪)সত্যা(৬৫)বুদ্ধিদা (৬৬)বহুলা(৬৭)বহুলপ্রেমা(৬৮)সর্ববাহনবাহনা (৬৯)নিশুম্ভনিশুম্ভহননী(৭০)মহিষাসুরমর্দিনী (৭১)মধুকৈটভহন্ত্রী(৭২)চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনী (৭৩)সর্বাসুরবিনাশা(৭৪)সর্বদানবঘাতিনী (৭৫)সর্বশাস্ত্রময়ী(৭৬)সত্যা(৭৭)সর্বাস্ত্রধারিণী (৭৮)অনেকশস্ত্রহস্তা(৭৯)নেকাস্ত্রধারিণী (৮০)কুমারী(৮১)কন্যা(৮২)কৈশোরী(৮৩)যুবতী (৮৪)যতি(৮৫)অপ্রৌঢ়া(৮৬)প্রৌঢ়া(৮৭)বৃদ্ধমাতা (৮৮)বলপ্রদা(৮৯)মহোদরী(৯০)মুক্তকেশী (৯১)ঘোররূপা(৯২)মহাবলা(৯৩)অগ্নিজ্বালা (৯৪)রৌদ্রমুখী(৯৫)কালরাত্রি(৯৬)তপস্বিনী (৯৭)নারায়ণী(৯৮)ভদ্রকালী(৯৯)বিষ্ণুমায়া (১০০)জলোদরী(১০১)শিবদূতী(১০২)করালী (১০৩)অনন্তা(১০৪)পরমেশ্বরী(১০৫)শ্বশান কালী(১০৬)সাবিত্রী(১০৭)প্রত্যক্ষা
এবং(১০৮)ব্রহ্মবাদিনী।

মা সন্তোষীর ধ্যান।। (Ma Santoshi Dhyan)
ওঁ রত্নসিংহসনারূঢ়াং রত্নালঙ্কারভূষিতাম্।
চতুর্ভুজাং ত্রিনয়নাং সকলাভীষ্ট দায়িকাম্।।
বরদাভয়হস্তাঞ্চ শঙ্খপদ্মকরস্থিতাম্।
রক্তবস্ত্রপরিধানাং স্মেরাননাং শুচিস্মিতাম্।।
পূজিতা সিদ্ধগন্ধর্বৈঃ দেবতাভিশ্চ সেবিতা।
এবং রূপাং সদা ধ্যেয়ং সন্তোষী মাতরঃ ভূবি।।
এর অর্থ —– মা সন্তোষী রত্ন সিংহাসনে নানা
অলংকার ধারন করে থাকেন। তিনি চতুর্ভুজা, তাঁর
ত্রিনয়ন, তিনি সর্ব মনস্কামনা পূর্ণ করেন, মোক্ষ
প্রদান করেন। তিনি বরা মুদ্রা ধারন করে থাকেন,
শঙ্খ পদ্ম করে ধারন করেন, তিনি রক্ত বস্ত্র
পরিধান করেন। তিনি সিদ্ধ, গন্ধর্ব, দেবতাদের
দ্বারা পূজিতা। এই ভাবে মা সন্তোষীকে ধ্যান
করি।
মা সন্তোষীর প্রনাম মন্ত্র ঃ
ওঁ সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বাথসাধিকে ।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি ! নমোহস্তুতে।।
এর অর্থ- হে দেবী , তুমি সকল মঙ্গলের
মঙ্গলরূপিণী , কল্যাণময়ী্ সর্বাভীষ্টপূরিকা
সকলের আশ্রয় সরূপিনী ও ত্রিনয়না। হে গৌরী হে মাতঃ তোমাকে প্রনাম করি।
১. শুক্র গ্রহের সুপ্রভাব পরে:
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শুক্রবার উপোস করে দেবীর পুজো করলে শুক্র গ্রহের সুপ্রভাবে পরতে শুরু করে। সেই সঙ্গে জন্মকুষ্টিতে শুক্রের খারাপ প্রভাব কাটতে শুরু করে। ফলে রোগ-ব্যাধির প্রকোপ যেমন কেটে যায়, তেমনি পরিবারে সুখ এবং সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, শুক্রের প্রভাবে বৈবাহিক জীবনও অনন্দে ভরে ওঠে। সেই সঙ্গে পরিবারের কারও সঙ্গে কোনও খারাপ কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, সুখে-শান্তিতে থাকতে প্রতি শুক্রবার উপোস করতে ভুলবেন না যেন!

২. ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূর হয়:
শাস্ত্রে এমনটা বলা হয়েছে যে প্রতি শুক্রবার সন্তোষী মায়ের অরাধনা করলে দেবী এতটাই প্রসন্ন হন যে গুড লাক রোজের সঙ্গী হয়ে ওঠে। ফলে মনের অন্দরে জমতে থাকা ছোট থেকে ছোটতর ইচ্ছা পূরণ হতে সময় লাগে না। আর এমনটা যখন হয় তখন জীবনের সামগ্রিক ছবিটাই যে বদলে যায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা র

ব্রত পালনের নিয়ম
প্রতি শুক্রবারে উপবাস করে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র, ধূপ-দীপ জ্বালিয়ে সন্তোষী মাতার ব্রত পাঠ করতে হবে। অপর কোন তিথি বা নক্ষত্রজনিত নিষেধ নেই।

ব্রতের ফল
ভক্তিভরে যে নারী এই ব্রত উদ্‍যাপন করবে- তার সব কামনা সিদ্ধ হবে। গৃহে অর্থাভাব থাকবে না।
পুজোর জন্য লাগবে
সন্তোষী মায়ের ছবি
ব্রতকথার বই, ঘট, পানপাতা, ফুল, কর্পূর, ধূপকাঠি, প্রদীপ, ঘি বা তেলে পূর্ণ, হলুদ, সিঁদুর

ঘটে রাখার জন্য ফল, মূলত নারকোল বা কলাহলুদ মেশানো আতপ চাল, ছোলা, গুড় আর কলা হল প্রসাদ
পুজো পদ্ধতি
ঘরের এক কোণ পরিষ্কার করে কাঠের আসন পাতুন | প্রতিষ্ঠা করুন দেবী ছবি | নইলে রোজ যেখানে পুজো করেন, সেখানেও করা যায়।শুক্রবার সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার বসনে দেবীর সামনে ঘট প্রতিষ্ঠা করুন | ঘটে গঙ্গাজল , বা গঙ্গাজল না পেলে এমনি পরিষ্কার জল দিয়ে পূর্ণ করুন | ঘটের উপর ফল রাখুন | প্রসাদ হিসেবে দিন ধান, দুর্বা, ফুল, ছোলা, গুড় বা বাতাসা |
প্রথমে সন্তোষী মায়ের বাবা গণেশ এবং দুই মা ঋদ্ধি ও সিদ্ধির পুজো করুন | তারপর সন্তোষী দেবীর ব্রতকথা পাঠ করুন |

পাঠ শেষে শঙ্খ ও উলুধ্বনি দিন | প্রণাম করে বলুন, ‘ জয় সন্তোষী মা !’ এরপর আরতি করুন | শান্তির জল ছিটিয়ে দিন বাড়ির সর্বত্র |

প্রসাদ বিতরণ করে ওই প্রসাদ দিয়েই ভঙ্গ করতে পারেন উপবাস | বা সারাদিনও রাখতে পারেন উপবাস | শুক্রবার সন্তোষী মায়ের আবির্ভাবের দিন বলে ওইদিন এই পুজো পালিত হয় | কোনও তিথি নক্ষত্রের বিধিনিষেধ নেই | যেকোনও বয়সী নারীপুরুষ এই ব্রত পালন করতে পারেন |

ব্রতপালনের একটাই মূল শর্ত হল, যিনি পালন করবেন, সেই ব্রতী এদিন টকজাতীয় কিচ্ছু খেতে পারবেন না | প্রসাদেও টক খাবার যেন কিছু না থাকে |

ষোল সপ্তাহ বা চারমাস পরে উদযাপন করতে হয় ব্রত | ওইদিন একইভাবে পুজো করার পরে আটজন বালককে ডেকে ভোজন করাতে হয় | নিজের পরিবারে না থাকলে পরিচিতদের থেকে নিমন্ত্রণ জানানো

সন্তোষী রূপে দূর্গা নামে বিপদ মুক্তি
বীজ মন্ত্র -ওঁ সাং মাতা সন্তোষী

-দারিদ্র্যে জর্জরিত? বা পারিবারিক কলহে রাতের ঘুম কেড়েছে?চলার পথে বাধা, তা হলে এই দুর্গা মন্ত্রীগুলি জপ করলে সমস্ত বিপত্তি দূর হবে। পরিবারে সুখের বাস হবে।

১)দারিদ্রতা এবং দুঃখ ইত্যাদি দূর করতে
দুর্গে স্মৃতা হরসি ভীতিমশেষজন্তোঃ স্বস্থৈঃ স্মৃতা মতিমতীব শুভাং দদাসি। দারিদ্র্যদুঃখভয়হারিণি কা ত্বদন্যা সর্বোপকারকরণায় সদার্দ্রচিত্তা।।

২)কলহ, অশান্তি দূর করে ভালোবাসা বৃদ্ধির জন্য
ঘাং ঘীং ঘূং ঘূর্জটে। পত্নী বাং বীং বূং বাগধীশ্বরী।। ক্রাং ক্রীং ক্রূং কালিকা দেবী। শাং শীং শূং মেং শুভং কুরু।।

৩)সুশীল এবং বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন স্ত্রীর প্রাপ্তির জন্য
পত্নীং মনোরমাং দেহি মনোবৃত্তানুসাপিণীম্। তারিণীং দুর্গসংসারসাগরস্। কুলোদ্ধবাম্।।

৪)কোনও বিপত্তির হাত থেকে বাঁচতে
শূলেন পাহি নো দেবী পাহি খড়গেন চাম্বিকো। ঘণ্টাস্বনেন নঃ পাহি চাপজ্যানিঃস্বনেন চ।।

৫)প্রসন্নতা প্রাপ্তির জন্য
প্রণতানাং প্রসীদ ত্বং দেবী বিশ্ববার্তিহারিণি। ত্রৈলোক্যবাসিনামীড্যে লোকানাং বরদা ভবা।

৬)বাধা বিপত্তি দূর করতে
‘শরণাগত দীনার্ত
পরিত্রাণ-পরায়ণে।
সর্বস্যার্তিহরে দেবী
নারায়ণী নমোহস্তুত

‘৭)আইনের সমস্যা বা সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা হলে
সর্ব বাধা প্রশমনং
ত্রৈলোক্যস্যাখিলেশ্বরী।
এবমেব ত্বয়া কার্যমন্মদ
বৈরী বিনাশনম’।

৮)সৌভাগ্য লাভ ও সুস্থ থাকার জন্য-
‘দেহি সৌভাগ্যমারোগ্যং দেহি
দেবী পরং সুখম।
রুপং দেহি জয়ং দেহি
যশো দেহি দ্বিষো জহি’।

৯)বিদ্যালাভ ও কর্ম লাভের জন্য-

‘বিদ্যাবন্তং যশস্বন্তং
লক্ষীবন্তঞ্চ মাং কুরু।
রূপং দেহি জয়ং দেহি
যশো দেহি দ্বিষো জহি’।

১০)বিবাহের জন্য-

‘ভার্যাং মনোরমাং দেহি
মনোবৃত্ত্যনুসারিণীম্।
রূপং দেহি জয়ং দেহি
যশো দেহি দ্বিষো জহি’।

১১)জীবনে স্থিতিশীলতা আনার জন্য-

‘সৈব কালে মহামারী
সৈব সৃষ্টির্ভবত্যজা।
স্থিতিং করোতি ভূতানাং
সৈব কালে সনাতনী’।

১২)কর্মে উন্নতি ও কর্ম পাওয়ার জন্য

– জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী | দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্তু তে ||
বীজ মন্ত্র : ঔঁ দূং দূর্গে দূর্গে রক্ষীনী স্বাহা হ্রীং দূর্গায় নমঃ

১৩)সব কাজে সাফল্য ও বিপদ থেকে মুক্তির জন্য –
‘ওঁ হ্রীং দুর্গে দুর্গে
রক্ষণী রক্ষণী স্বাহা’।
সারাদিনে যতক্ষণ পারবেন জপ করুন। এর কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। অধিক জপে অধিক ফল।তবে স্নান করে ১০৮ বার করবেন।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *