www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 26, 2024 9:55 pm
siv

নীল ষষ্ঠী পালন করা হয় চৈত্র সংক্রান্তির (Chaitra Sankranti) আগের দিন। সন্তানের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায় এদিন বাংলার ঘরে ঘরে মায়েরা উপবাস রেখে নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন। সারাদিন কোনও খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করেন না তাঁরা। সারাদিন উপোস রেখে সন্ধেয় মহাদেবের পুজো করে, তাঁর প্রসাদ খেয়ে তবে উপবাস ভঙ্গ করেন মায়েরা। এই বছর ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে নীল ষষ্ঠীর ব্রত। নীলের পুজো করে সন্তানের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করেন মায়েরা।

লোক কথায় প্রবাদে বলে, ‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী।’

কথায় শুধু পুত্রের উল্লেখ করা হলেও, পুত্র কন্যা সবার জন্যই নীল ষষ্ঠীর উপবাস করে থাকেন বাংলার মায়েরা। চৈত্র সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী। নীল ষষ্ঠীর পরের দিন চৈত্র সংক্রান্তি অর্থাত্‍ চৈত্র মাসের শেষ দিন। আর তার পরের দিন পয়লা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষের শুরু (Bengali New Year)। সন্তানের সুখ, সৌভাগ্য ও দীর্ঘ জীবনের কামনা এই ব্রত পালনের মধ্যে দিয়ে করে থাকেন বাংলার মায়েরা।

নীল ষষ্ঠী পালন করা হয় চৈত্র সংক্রান্তির (Chaitra Sankranti) আগের দিন। সন্তানের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনায় এদিন বাংলার ঘরে ঘরে মায়েরা উপবাস রেখে নীল ষষ্ঠীর ব্রত পালন করেন। সারাদিন কোনও খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করেন না তাঁরা। সারাদিন উপোস রেখে সন্ধেয় মহাদেবের পুজো করে, তাঁর প্রসাদ খেয়ে তবে উপবাস ভঙ্গ করেন মায়েরা। এই বছর ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পালিত হচ্ছে নীল ষষ্ঠীর ব্রত। নীলের পুজো করে সন্তানের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা করেন মায়েরা।

এই সময় মাটি দিয়ে শোয়ানো অবস্থায় একটি দেব মূর্তি তৈরী করা হয়। যে মূnil sasthiর্তিকে শিবের মূর্তি বলা হয়। এটি অনেকটাই অমসৃণ থাকে। ঠিক শিবের আদল বোঝা যায় না। নরম মাটি দিয়ে তৈরী এই মূর্তির গায়ে খেজুর দিয়ে আবরণ দেওয়া হয়। চারি পাশে খেজুর পাতা দিয়ে ঘিরে রাখা হয়। কোথাও কোথাও মাটির মূর্তির বদলে একটি মাটির ঢিবি তৈরি করা হয়। এর পর ফুল-বেল পাতা দিয়ে শুরু হয় নীল পুজো। একই সঙ্গে চলে বালা গান।

এই দিন বাড়ির মহিলারা সারাদিন ধরে উপোস করে থাকেন। বিকেলে পুজো দিয়ে তবেই কিছু মুখে দেন তাঁরা। সাধারণত পরিবারের সকলের স্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনার্থে নীলের উপবাস (Spiritual) করে থাকেন।

 

নীল ষষ্ঠী ২০২৩ দিনক্ষণ

এই বছর আগামী ১৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পালিত হবে নীল ষষ্ঠী। বাংলা ক্যালেন্ডার (Bengali Panchang) অনুসারে সেদিন ২৯ চৈত্র ১৪২।

কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণেরই অন্যতম হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত। সারাদিন নির্জলা উপোস রেখে সন্ধের পর শিবলিঙ্গে জল ঢেলে, মহাদেবের পুজো করে, তাঁর প্রসাদ খেয়ে তবে উপবাস ভঙ্গ করেন মায়েরা।

নীল ষষ্ঠীর ব্রত কথা (Nil Sasthi Brata Katha)

এক বামুন আর বামনীর পাঁচ ছেলে আর দুটি মেয়ে ছিল। তারা খুব পুজোআচ্চা করত। কিন্তু এত পুজো, বারব্রত করেও তাঁদের সব ছেলেমেয়েগুলো একে একে মরে গেল। তখন বামনীর ঠাকুরদেবতায় বিশ্বাস চলে গেল। তাঁদের আর সেই জায়গায় থাকতেও ভালো লাগল না। বামুন-বামনী ঠিক করলেন সব ছেড়েছুড়ে তাঁরা মনের দুঃখে কাশীবাসী হবেন। দশাশ্বমেধ ঘাটে স্নান করে অন্নপূর্ণার পুজো করে মণিকর্ণিকার ঘাটে বসে আছে, এমন সময় মা-ষষ্ঠী এক বুড়ি বামনীর বেশে এসে বললেন ” কি ভাবছ গো মা?”

বামনী বললেন “আমার সব ছেলেমেয়েদের হারিয়েছি। এত পুজোআচ্চা সব বিফলে গেল আমাদের। সব অদৃষ্ট। ঠাকুর দেবতা বলে কিছ্ছু নেই।” ষষ্ঠীবুড়ি বললেন “বারব্রত নিষ্ফল হয়না মা, ধর্মকর্ম যাই কর ঈশ্বরে বিশ্বাস চাই। তুমি মা-ষষ্ঠীকে মানো? তাঁর পুজো করেছ কখনো? তিনি সন্তানদের পালন করেন। বামনী বললে “আমি এতদিন ধরে সব ষষ্ঠী করে আসছি কিন্তু তবুও আমার ছেলেরা র‌ইল না।

ষষ্ঠীবুড়ি বললেন, “তুমি নীলষষ্ঠীর পুজো করেছ কখনো? চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন উপোস করে শিবের পুজো করবে। শিবের ঘরে বাতি জ্বেলে জল খাবে। সন্তানদের মঙ্গলকামনা করবে” বামনী সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে পুনরায় মাতৃত্ব লাভ করলেন।

নীলষষ্ঠীতে মূলত সন্তানের কামনায় উপবাস করে থাকেন মহিলারা। তবে শুধু বিবাহিত মহিলা নয়, অবিবাহিত মহিলা এবং অনেক পুরুষও এই ব্রত পালন করেন নিষ্ঠা করে। তারকেশ্বর থেকে শুরু করে পশ্চিম বাংলার একাধিক স্থানে কাঁধে বাঁক নিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালতে হাজির হন শিব ভক্তেরা।

 

(সংগৃহীত)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *