www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 7, 2024 2:39 pm
hanuman

আগামী ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চৈত্র পূর্ণিমায় পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। পূর্ণিমা (Purnima) পড়বে ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে এবং পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে ৬ এপ্রিল সকাল ১০টা ৪ মিনিটে।

চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী। বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল দেশজুড়ে পালিত হবে এই দিনটি। চৈত্র মাসের পর আবার কার্তিক মাসেও হনুমান জয়ন্তী পালন করা হবে অনেক জায়গায়। মহাবীর হনুমানকে মহাদেবের একাদশ অবতার হিসেবে মনে করা হয়। তিনি ছিলেন শ্রীরামচন্দ্রের পরম ভক্ত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, যেখানেই রাম (Ram) কথা পাঠ করা হয়, সেখানেই কোনও না কোনও রূপে হনুমান নিশ্চয় অধিষ্ঠান করেন।

হনুমান জয়ন্তীর দিনক্ষণ

আগামী ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার চৈত্র পূর্ণিমায় পালিত হবে হনুমান জয়ন্তী (Hanuman Jayanti)। পূর্ণিমা (Purnima) পড়বে ৫ এপ্রিল সকাল ৯টা ১৯ মিনিটে এবং পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে ৬ এপ্রিল সকাল ১০টা ৪ মিনিটে।

বজরংবলীর জন্মের কথা

হনুমানকে বলা হয় পবনপুত্র। আবার তাঁকে কেশরীনন্দন ও অঞ্জনার সন্তান হিসেবেও মনে করা হয়। ত্রেতাযুগে মহারাজ দশরথ সন্তান কামনায় পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করেছিলেন। যজ্ঞের পরে বিশেষ ক্ষীর দশরথের তিন রানি কৌশল্যা, কৈকেয়ী ও সুভদ্রার মধ্যে সমান ভাগে ভাগ করে দেন পুরোহিত। সেই সময় অল্প একটু ক্ষীর নিয়ে পালায় এক পাখি। উড়তে উড়তে পাখি পৌঁছয় দেবী অঞ্জনার আশ্রমে। তখন মহাদেবের আরাধনা করছিলেন তিনি। পাখির মুখের থেকে একটু ক্ষীর চলকে গিয়ে পড়ে অঞ্জনার হাতে। একে মহাদেবের (Siv) প্রসাদ মনে করে খেয়ে নেন অঞ্জনা। এরপর ঈশ্বরের কৃপায় জন্ম হয় মহাদেবের অন্যতম অবতার বজরংবলীর। সেদিন ছিল চৈত্র পূর্ণিমা (Chaitra Purnima)।

অন্য একটি কাহিনি অনুসারে বানর হিসেবে জন্ম নেন হনুমান। তাঁর মা অঞ্জনা বা অঞ্জনি ছিলেন এক কিন্নরী, যিনি অভিশাপ পেয়ে বানর জন্ম পান। তবে অঞ্জনি এই আশীর্বাদ পেয়েছিলেন যে তাঁর গর্ভে কোনও পুত্র সন্তানের জন্ম হলে তিনি এই বানর জন্ম থেকে মুক্তি পাবেন। বায়ু বা পবন অঞ্জনির কানের মধ্যে দিয়ে তাঁর শরীরে প্রবেশ করেন এবং তার ফলে পবনপুত্র হনুমানের জন্ম হয়।

হনুমান জয়ন্তীর পুজোর নিয়ম

হনুমান জয়ন্তীতে বজরংবলীর (Bajrangbali) মূর্তিতে সিঁদুর ও জুঁই ফুলের তেল লাগান। অক্ষত, কানের, জবাফুল অথবা গোলাপ ফুল নিবেদন করে পুজো করুন হনুমান জির। মালপোয়া, বেসনের লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে অর্পণ করুন। এর সঙ্গে ১০৮ বার জপ করুন ‘ওম হান হনুমতে নমহঃ’। এরপর হনুমান চালিশা পাঠ করুন। বজরংবলীর আরতি শেষ করে দরিদ্রদের অন্নদান করুন।

(সংগৃহীত)

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *