সেই হাজার বছর আগে বৈদিক ঋষিরা গভীর জঙ্গলে আত্মস্থ হতেন ঈশ্বর সাধনায়। আর সেই তখন থেকে হিন্দু পূজাতে আরতি একটি অপরিহার্য অঙ্গ। পূজা শেষে ধূপ, প্রদীপ ও কর্পূর দিয়ে আরতি করা হয়। আরতি ছাড়া পূজা অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। হিন্দু ধর্মে আগুনকে বিশুদ্ধ মনে করা হয়। পূজা শেষে বিশেষ পদ্ধতিতে দেবতার সামনে জ্বলন্ত শিখা বৃত্তাকারে ঘোরানো হয় । দেবতাকে খুশি করার জন্য, একটি প্রদীপ জ্বালানোর সাথে সাথে তার প্রশংসা করা হয় এবং মহিমান্বিত করা হয় । উপাসকের অন্তরে ভক্তির প্রদীপ জ্বালিয়ে ভগবানের আশীর্বাদ লাভের সহজ মাধ্যম। তবে এই আরতির বিশেষ কিছু নিয়ম ও রীতি আছে।
সাধারণভাবে আরতি ৪ প্রকারের হয়। সমস্ত আর্তিতেই আসলে ঈশ্বরের কাছে নিজেদের নিবেদন করা হয়।
১) দীপ আরতি –
আরতি মানে প্রদীপ জ্বালানো। আমরা পৃথিবীতে আলোর জন্য প্রার্থনা করি।
২) জল আরতি –
জল জীবনের প্রতীক। অর্থাৎ আমরা প্রাণের জল দিয়ে ঈশ্বরের উপাসনা করি।
৩) ধূপ, কর্পূর আরতি –
ধূপ, কর্পূর এবং ধূপকাঠি সুগন্ধের প্রতীক। তারা পরিবেশকে সুগন্ধযুক্ত করে এবং আমাদের মনকেও খুশি করে।
৪) ফুলের আরতি –
ফুল সৌন্দর্য ও সুবাসের প্রতীক। অন্য কোন উপায় না থাকলে ফুল দিয়ে আরতি করা হয়।
বিভিন্ন আরতি বিভিন্ন সময় করা হয়। পুরান মতে –
মঙ্গলা আরতি: সূর্যোদয়ের আগে ভগবানকে প্রার্থনা করার সময় এই আরতিটি করা উচিত।
শ্রিংগার আরতি: এই আরতিটি ভগবানের পূজা করার পরে করা উচিত।
রাজভোগ আরতি: ভোগ নিবেদনের সময় এই আরতিটি বিকেলে করা উচিত এবং প্রভুর বিশ্রামের ব্যবস্থা করা উচিত।
সন্ধ্যার আরতি: এই আরতিটি সন্ধ্যায় ভগবানের সাক্ষাতের সময় করা উচিত।
শয়ন আরতি: রাতে প্রভুর ঘুমানোর সময় এই আরতি করা উচিত।