www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 26, 2024 3:01 am

খবরে আমরাঃ রাজ্য সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিধানসভা নির্বাচনের পরে বঙ্গ বিজেপির বেহাল দশা সুধরাতেই তাঁর এহেন বঙ্গ সফর। শুধরানোর পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির অন্দরে একের পর এক কোন্দল সামাল দেওয়াই আসল লক্ষ্য। বঙ্গ বিজেপি আন্দোলন সীমাবদ্ধ থেকে গিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অন্দরেই। তাকে এবার আদালতের বাইরে পথে নামানোর পরামর্শও দিতে হচ্ছে তাঁকে। সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই সঙ্গী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী আর সুকান্ত মজুমদার।

আর বঙ্গ সফরে উত্তরবঙ্গও যাচ্ছেন শাহ। কিন্তু সেখানেই বিপদ। তাঁর দলেরই বন্ধু গোর্খারা এবার বিগড়ে গিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময় পৃথক রাজ্যের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। সেই প্রতিশ্রুতিতে ভোটও আদায় করেছে তারা। এমনই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে পোস্টার পড়েছে কালিম্পং এবং শিলিগুড়িতে। নবগঠিত ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদের তরফে এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ সফরের আগেই এ নিয়ে জবাব চেয়েছে পাহাড়ের ওই দল।

প্রসঙ্গত, তাঁর সেই সফরের প্রাক্কালে এই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘গোর্খা জাতিকে আর কতদিন মিথ্যা সহ্য করতে হবে?’ ভারতীয় গোর্খা সুরক্ষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এস পি শর্মার দাবি, ‘‘২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কাজ না করে গোর্খা জাতিকে ঠকিয়ে ভোট নেওয়া হয়েছে এবং তা এখনও চলছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘২০১৯-এর নির্বাচনের সময় আলাদা রাজ্যের কথা বলেছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ বার উত্তরবঙ্গ সফরে অমিত শাহ আসছেন। গোর্খাল্যান্ডের জন্য তাঁর কি পরিকল্পনা রয়েছে আমরা জানতে চাই। এ বিষয়ে শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দিয়েছি আমরা। এ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। না হলে আমরা অন্য ধরনের আন্দোলনে যাব।’’

যদিও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের মতে, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের আগে এই ধরনের ঘটনা না ঘটনোই বাঞ্ছনীয়। তবে যে রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলা হচ্ছে, তা শুধুমাত্র কেন্দ্রের একার কথায় মিটবে না। এর জন্য রাজ্য বা পাহড়ের মানুষদেরও মত প্রকাশের জায়গা রয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘গোর্খাল্যান্ড নিয়ে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আমাদের সাংসদ রাজু বিস্তা। এ নিয়ে চটজলদি একটা সিদ্ধান্তে আসা যায় না। কেন্দ্র থেকে রাজ্য, সকলের সহযোগিতা সমান ভাবে প্রয়োজন রয়েছে।’’

পোস্টারকে পড়াকে কেন্দ্র করে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সমতল) পাপিয়া ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গ সফরে যিনিই আসুন না কেন, তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করে এ ভাবে পোস্টার কাম্য নয়। মানুষের নানা ধরনের অভাব-অভিযোগ থাকতেই পারে। তবে আলোচনার মাধ্যমে তার সমাধান করা উচিত। বিভিন্ন জনজাতির অভাব অভিযোগ শুনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই পাহাড়বাসীর সমস্যা বা দাবি মেটাবেন।’’

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *