খবরে আমরাঃ যোগী রাজ্যে ফের জোড়া ধর্ষণ। ধর্ষণ রাজ্য এখন উত্তরপ্রদেশ।
পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ-ধর্ষণ নিয়ে আদালতের চার দেওয়ালে “আইনি আন্দোলনে“ ব্যস্ত দিলীপ-সুকান্তর বিজেপি। তৃণমূল সরকারককে গালমন্দ করে রাজ্যের গেরুয়ার দ্বন্দ মেটাতে রাজ্য সফরে অমিত শাহ নিজেই। আর সেই সুর চড়ানোর আগেই উত্তরপ্রদেশে এক গণধর্ষিতাকে থানাতেই গণধর্ষণ করল পুলিশকর্মীরাই। এমন ঘটনার রেশ কাটার আগেই ধর্ষণের শিকার হতে হল ফতেপুরের এক দলিত নাবালিকাকে। ১৫ বছর বয়সের মেয়েটি অপমানের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত বেছে নিল আত্মহননের পথ। এদিকে পশ্চিমবঙ্গের ধর্ষণ নিয়ে সিবিআই-সিবিআই করে ব্যস্ত বিজেপির নিজের রাজ্যেই একের পর এক ধর্ষণ। এর তদন্ত কে করবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধেয় ফতেপুরের চাঁদপুর এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা পাশের জঙ্গলে শৌচকর্ম করতে যায়। তারপর দীর্ঘক্ষণ বাড়ি ফেরেনি সে। সন্ধে গড়িয়ে রাত হওয়ার পরও মেয়ে বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। রাতের দিকে ওই জঙ্গলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় নির্যাতিতাকে। অভিযোগ, ওই নাবালিকাকে জঙ্গলে একা পেয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে স্থানীয় এক যুবক। ফতেপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করেন স্থানীয়রাই।
কিন্তু পরদিন সকালেই অপমানে কীটনাশক খায় সে। এবার আর তাঁকে বাঁচানো যায়নি। তবে মৃত্যুর আগে ওই নির্যাতিতা হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে নিজের ধর্ষকের নাম বলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফতেপুরের পুলিশ সুপার রাজেশ কুমার সিং। নির্যাতিতার মৃত্যুকালীন বয়ান এবং তাঁর বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তারও হয়েছে।
গণধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় যাওয়া এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। অবশেষে গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত সেই অফিসারকে। পাশাপাশি যে থানায় ওই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার সমস্ত পুলিশকর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? ঘটনার সূত্রপাত ২২ এপ্রিল। অভিযোগ, চার যুবক ১৩ বছর বয়সি ওই নাবালিকাকে তুলে নিয়ে যায় ভোপালে। এরপর সেখানে তাকে লাগাতার গণধর্ষণ করা হয়। অবশেষে ২৬ এপ্রিল সকালে তাকে পালি থানার সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয় ওই নাবালিকা এবং তার আত্মীয়াকে। বলা হয়, গণধর্ষণের বয়ান রেকর্ড করতেই ডাকা হচ্ছে তাকে। সারাদিন থানায় রাখা হয় নাবালিকাকে। সেই সময়েই একটি আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানিয়েছে ওই নাবালিকা। কিছু সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আত্মীয়ার উপস্থিতিতেই ধর্ষণ করা হয় নাবালিকাকে।
একটি চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। কী কী ঘটেছিল তার সঙ্গে, বিস্তারিত ভাবে সেখানে জানায় নাবালিকা। তখনই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন চাইল্ড লাইনের কর্মীরা। নাবালিকার পরিবারকে তাঁরাই বলেন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে।
এরপরই তিলকধারী সরোজ নামে এক স্টেশন হাউস অফিসারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই জানা যায়, অভিযুক্ত পলাতক। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে বুধবার তিলকরাজ ধরা পড়লেন পুলিশের জালে।
এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলার উপরে ‘বুলডোজার’ চালাচ্ছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের ললিতপুরের ধর্ষণকাণ্ড এখনও খবরের শিরোনামে। গত ২২ এপ্রিল চার যুবক ১৩ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে ভোপালে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। ২৬ এপ্রিল সকালে তাকে পালি থানার সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২৭ এপ্রিল ফের থানায় ডেকে পাঠানো হয় ওই নাবালিকা এবং তার আত্মীয়াকে। বলা হয়, গণধর্ষণের (Gangrape) বয়ান রেকর্ড করতেই ডাকা হচ্ছে তাকে। সারাদিন থানায় রাখা হয় নাবালিকাকে। সেই সময়েই একটি আলাদা ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে থানার ওসি ফের ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠছে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিস দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একযোগে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিরোধী শিবির। এর মধ্যে ফের ধর্ষণের খবর যোগী রাজ্যে।