খবরে আমরাঃ রাজনৈতিক চাপে প্রায় ধামাচাপা পড়তে চলেছিল হাঁসকালি ধর্ষণ। ঘটনার সাতদিন পর যার বহিঃপ্রকাশ, সেই মামলাকেই মুখ্যমন্ত্রী প্রেমের কাহিনী বলে চালানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন। যেমনটা মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণের সময়ে। কিন্তু থেমে থাকেননি আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। তিনি কলকাতা হাইকতোর্টের আইনজীবী। প্রায় কবর থেকে তুলে এনে সেই মামলায় আইনি ব্যাখ্যা বুঝিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। এবার হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন করলেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের এজলাসে আবেদনপত্র দাখিল করেন মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। দ্রুত শুনানির আরজি জানান তিনি। আবেদন বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস প্রধান বিচারপতির।
গত সোমবার হাঁসখালি ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআই মুখবন্ধ খামে অসম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দিয়েছে হাইকোর্টে। জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে, রিপোর্ট জমা দিতে আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লাগবে। এই সময় চেয়ে আবেদন জানান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
ওইদিনই হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, ধর্ষণকাণ্ডে কোনও নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে আনা যাবে না। অন্যত্রও উল্লেখ করা যাবে না তাঁর নাম। সেক্ষেত্রে তদন্তে ক্ষতি হতে পারে। কারণ, মামলার অন্যান্য ব্যক্তিরাও জেনে গেলে তদন্তে সমস্যা হতে পারে। প্রসঙ্গত, বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির এক মহিলা সদস্য সাংবাদিক বৈঠকে হাঁসখালি কাণ্ডের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। এনিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত।