সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রয়াগ এতো মানুষ কখনো দেখে নি, যা এবার দেখতে চলেছে। প্রশাসনের ধারণা, দেড় মাসে ৪০ কোটির বেশি পুণ্যার্থীর পা পড়বে প্রয়াগরাজ। কিন্তু প্রথম দিনেই মনে হচ্ছে ৪০ কোটি ছাড়িয়ে আরও অনেকটা এগোবে – যা একটা ইতিহাস তৈরী হতে চলেছে প্রয়াগে। হোটেলে তিল ধারণের জায়গা নেই। বাড়তি ট্রেন দিয়েও ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ফ্লাইট বুকিং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দেশ ও বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসছেন প্রয়াগরাজে। মহাকুম্ভ মেলায় পৌঁছতে আকাশপথকে বেছে নিচ্ছেন অনেক যাত্রী। ixigo-র গ্রুপ সিইও অলোক বাজপেয়ী বলেন, “প্রয়াগরাজে এবার ২০টি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিমান পৌঁছে যাচ্ছে। আগের কুম্ভমেলায় শুধু দিল্লি থেকে সরাসরি প্রয়াগরাজে আসার সুবিধা ছিল। এবার তাই বিমানে করে প্রয়াগরাজে আসা পুণ্যার্থীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে।” গতবছরের এই সময়ের চেয়ে তাই প্রয়াগরাজে আসার জন্য বিমান বুকিংয়ের সংখ্যা ১৬২ শতাংশ বেড়েছে।
বিমান বন্দর সূত্রে জানা গেছে,
প্রয়াগরাজের নিকটবর্তী বারণসী এবং লখনউ বিমানবন্দরেও যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে। বারাণসীতে বিমান বুকিং বেড়েছে ১২৭ শতাংশ। আর লখনউয়ে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। ৩০ দিন আগে বিমান বুকিং করলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রয়াগরাজে আসতে গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগছে। তবে বিমানের সংখ্যার তুলনায় টিকিটের চাহিদা বেশি থাকায় ভোপাল থেকে সরাসরি প্রয়াগরাজে আসার টিকিটের দাম ১৭ হাজার টাকাও পড়ছে। আবার যে দিনগুলিতে পুণ্যস্নান পড়েছে, সেইসময় টিকিটের দাম অনেকটাই বেশি। যেমন, ২৭ জানুয়ারি মুম্বই থেকে প্রয়াগরাজে আসতে বিমানভাড়া পড়ছে ২৭ হাজার টাকা। মেক মাই ট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও গ্রুপ সিইও রাজেশ মাগো বলেন, “সবচেয়ে বেশি বিমান বুকিং হয়েছে মহাকুম্ভ মেলার সূচনা ও সমাপ্তির সময়।” ইজ মাই ট্রিপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও রিকান্ত পিট্টি বলেন, “দেশ এবং বিদেশ থেকে বুকিং করা হচ্ছে। গ্রুপ বুকিংও করা হচ্ছে। শুধু ৫০ কিংবা তাঁর বেশি বয়সী নাগরিকরা নন, কমবয়সীরা মহাকুম্ভ নিয়ে উৎসাহিত।” ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটর্সের সভাপতি রাজীব মেহরা বলেন, গতবারের থেকে এবার বিদেশি পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেশি।