সিন্ধু নদের যে অংশ পাকিস্তানে আছে সেখানকার অ্যাটক জেলায় নদীর গর্ভে জমে আছে প্রচুর সোনা। গবেষণায় জানা গেছে, পাকিস্তানের উত্তরাংশের পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ রে হিমালয়ই হল সিন্ধু নদে প্রাপ্ত সোনার উৎস। কয়েক কোটি বছর আগে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। আসলে সেই সময় টেকটনিক পাতের সংঘর্ষে পর্বত গড়ে উঠেছিল। ক্ষয় হয়ে সোনার কণা নদীতে গিয়ে জমা হয়েছিল। সিন্ধু নদের জলের প্রবাহে সেই স্বর্ণের কণা বয়ে গিয়েছিল। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীগর্ভে জমা হয়েছিল। এই প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার ফলে নদীর নির্দিষ্ট কিছু অংশে বিপুল পরিমাণে সোনা জমা হয়েছিল। নবভারত টাইমস এবং ডেলি পার্লামেন্ট টাইমস-সহ বিভিন্ন মিডিয়া আউটলেটের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে যে, বিশেষ করে অ্যাটক জেলার প্রায় ৩২ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে স্বর্ণের ভাণ্ডার।
এই খনি আবিষ্কারের খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। নদীতটে সোনা খনন করতে জড়ো হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আসলে শীতের মরশুমে জলের পরিমাণ কমে এসেছে। যার জেরে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে সোনার কণা। যদিও এই ভাবে খননকার্য কিন্তু অবৈধ। কারণ বেশ কিছু সময় ভারি যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা হচ্ছে। নবভারত টাইমস-এ জানানো হচ্ছে যে, আপাতত সেখানে ১৪৪ ধারা বলবৎ করেছে পাকিস্তান সরকার। এখন দেখার পাকিস্তান সরকার এবার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।