বাঙালি,অবাঙালি থেকে ভারতীয় বা অভারতীয় সকলের প্রিয় খাবার ‘ফুচকা’।প্রায় সমস্ত দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ফুচকার প্রচলন। কিন্তু ফুচকার গঠন কম-বেশি একরকম হলেও নামের বৈচিত্র অনেক। গোলগাপ্পা, ফুলকি, টিক্কি, পানি কে বাতাসে, ফুচকা, গুপচুপ, বাতাসি, পাকাডা, পানিপুরি, পাকোরি তো আছেই আর নাম আছে ‘ফুচকা’। – যে নামেই ডাকুন এই খাবার বাঙালির প্রাণের। কিন্তু কেন এই নামের বৈচিত্র? গবেষকেরা বলছেন –
* গোলগাপ্পা নাম হওয়ার কারণ গোল একটা ফুচকাকে এক গাপ্পায় অর্থাৎ একেবারে মুখে পুরে নেওয়ার কারণে হয়েছে।
*ফুলন্ত মচমচে ফুচকার ভেতরে টক-ঝাল-মিষ্টি জল বা পানি দিয়ে খাওয়া হয় বলে নাম হয়েছে পানিপুরি।
- রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে পাতাসি নামে পরিচিত এ খাবারকে তামিলনাড়ুতে পানিপুরি বলে ডাকা হলেও পাকিস্তান, নয়াদিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচল প্রদেশে এর নাম গোলগাপ্পা। তেলেঙ্গানা, ওড়িষা, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশের অনেক অঞ্চলে একে ডাকা হয় গুপচুপ নামে। তবে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় এ খাবার জনপ্রিয়তা ফুলকি নামে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পানিপুরি বা ফুচকা বা ফুলকির উদ্ভব হয়েছিল দক্ষিণ বিহারের মগধে। তবে এই নিয়ে বিতর্ক আছে। আছে কিংবদন্তিও।
কিংবদন্তি অনুযায়ী এই ফুচকা প্রথম তৈরি করেন মহাভারতের দ্রৌপদী। গল্পটা এমন – দ্রৌপদীর তখন সদ্য বিয়ে হয়েছে। একদিন শাশুড়ি কুন্তী যাচাই করতে চাইলেন যে অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তাঁর পুত্রবধূ দ্রৌপদী কতটা ভাল খাবার বানাতে পারে। তাই তিনি একটু আলুর সবজি ও ময়দামাখা দিয়ে তাঁকে কিছু একটা বানাতে বলেন। সে সময় দ্রৌপদী আবিষ্কার ফুচকা আবিষ্কার করেন। কুন্তী সেই ফুচকা খেয়ে এতটাই মোহিত হয়েছিলেন যে, সেই খাবারকে অমরত্ব প্রাপ্তির আশীর্বাদ করেন।
জয় ফুচকা