স্বপ্ন যখন বাস্তবের রূপ পায়। আগামী ৫ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু করছে বর্ধমানের সেন্ট ভিনসেন্টস অ্যাকাডেমি (St Vincents Academy) । দিনটি স্মরণীয় করতে আজ থেকেই তিরঙ্গায় সেজেছে স্কুল ভবন।
এ এক অন্য স্বাধীনতার স্বাদ। স্বাধীনতা স্বপ্ন পূরণের। শহর লাগোয়া জোতরাম (joteram) নান্দুরে (Nandur) প্রায় ২ একর জমি নিয়ে তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক মানের এই আধুনিক স্কুল। ড্রিম টু অ্যাচিভ। ছাত্র তৈরি আর তার সার্বিক বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলার অঙ্গিকার নিয়েছে এই স্কুল।
আর স্বপ্ন না দেখলে তা পূরণ হবেই বা কী করে। স্কুলের চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় গুপ্তা নিজেই বর্ধমানের (Burdwan) একটি নামজাদা আইসিএসসিই (ICSE) স্কুল পরিচালনা করে আসছেন গত ১৫ বছর ধরে। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল জোসেফ কে অ্যাব্রাহাম। তিনি কয়েক দশক ধরে ডিনবলি গ্রুপ অফ স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপ্যাল। এবার তাঁদের যুগলবন্দিতে আগামী ৫ মার্চ উদ্বোধন হবে স্কুলের। এখন স্বপ্ন পূরণ শুধু সময়ের অপেক্ষা।
সঞ্জয় বাবু কী বলেন জানেন ?
স্বপ্ন। আমাদের লক্ষ্যপূরণের জন্য চাই একটা ছোট স্বপ্ন। আধুনিক পরিবেশে পড়াশোনা আর চরিত্র গঠনে
র মধ্য দিয়েই পূরণ হয় কাঙ্খিত স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নেরই নাম `ড্রিম টু অ্যাচিভ`।
শৈশব থেকে সেই স্বপ্নপূরণের দিনের জন্য গড়ে তুলতে লাগে একটা ভাল মানের স্কুল। বর্ধমানে হাজারো বেসরকারি স্কুলের মাঝে সেরা স্কুলকে বেছে নেওয়ার উপরেই নির্ভর করছে আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ।। সেই ভিড়ে একটু আলাদা ঐতিহ্য শহরের মানুষকে উপহার দিতে তৈরি সেন্ট ভিনসেন্ট`স আকাডেমি।
শহরের একটি বেসরকারি আইসিএসই/আইএসসি স্কুলের চেয়ারম্যান শ্রী সঞ্জয় কুমার গুপ্ত (Sanjay Kumar Gupta) সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। আর নেবেন নাই বা কেন। গত ১৫ বছর ধরে ছাত্রছাত্রী তৈরির জন্য কয়েক হাজার অবিভাবক যে তাঁর উপরই ভরসা রেখেছে। সুযোগ্য প্রিন্সিপ্যাল হলেন একটি প্রখ্যাত বেসরকারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষাবীদ জোসেফ কে আব্রাহাম (Joseph K Abraham)। তাঁদের প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে সুশিক্ষিত করার পাশাপাশি স্পোকেন ইংলিশে সহজ করে তোলা হবেই।
বর্ধমানের গাঙপুর স্টেশন রোডের (Gangpur Station Road) উল্টোদিকে জাতীয় সড়কের ধারে নান্দুর-জোতরামে দু`একর জমি নিয়ে তৈরি সেন্ট ভিনসেন্ট`স আকাডেমি। নার্সারি থেকে লোয়ার কেজি, আপার কেজি থেকে ছাত্র তৈরির কাজ শুরু। বর্তমানে ক্লাস সিক্স পর্যন্ত পঠনপাঠনের সুবিধা রয়েছে।
শিশুদের মনের গঠনের কথা মাথায় রেখে পড়াশোনার পাশাপাশি মানসিক গঠনের জন্য রয়েছে প্লে স্টেশন, প্লে কর্ণার, আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাব। ৫৮০ স্কোয়ার ফুটের প্রতিটি বিশ্বমানের ক্লাসরুমে থাকছে ডিজিট্যাল মাধ্যমে পড়াশোনার সুবিধাও। যাতায়াতের জন্য রয়েছে নিজস্ব স্কুল বাস। শিশুদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বসেছে সিসিটিভি। অভিজ্ঞ শিক্ষক-কেয়ারটেকার-সেবিকারা থাকছেন।
বর্তমানে সব স্কুলের সঙ্গে সেন্ট ভিনসেন্ট`স আকাডেমিতে চলছে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তির ফর্ম বিলি। এবার আগামী ৫ মার্চ তার শুভ উদ্বোধন। আগামী ২৭ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষা বর্ষের ক্লাস। তবে এখনও ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা চালু রয়েছে একনও।তাই যাঁরা এখনও মনস্থির করতে পারেননি সন্তানের স্কুল বাছাইয়ে, তারা একবার ঘুরে দেখতে পারেন। স্কুলের আধুনিক পরিকাঠামো আর সুযোগ সুবিধা আপনাদের দিতে পারে সেরা ঠিকানা।