নিজের মেয়েকেই ধর্ষণের অভিযোগ খোদ বাবার বিরুদ্ধে। এখানেই শেষ নয়। নিকৃষ্ট এই ঘটনা চলছে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে। এমনকী নাবালিকা মেয়েটি যাতে গর্ভবতী হয়ে না পড়ে সেই কারণে তাঁকে সন্তান নষ্ট করার ওষুধও খাওয়ানো হয়েছে বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিগত পাঁচ বছর ধরে একই কাজ করে আসছে অভিযুক্ত বাবা। অন্তত, এমনটাই অভিযোগ। এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরই কাশীপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের উপর এই নির্যাতনের কথা কাউকে জানালে স্ত্রীকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। আর এই হুমকি একাধিকবার দিয়েছেন তিনি। প্রাণনাশের আতঙ্কে এতদিন কাউকেই কোনও কথা জানাচ্ছিল না মেয়ে ও মা। এরপর বাবার এই অত্যাচার আর সহ্য় করেনি মেয়ে। সোজা চলে আসে কাশীপুর থানায়।
নির্যাতিতা মেয়েটি বলেন, “ছোটবেলা থেকেই বাবা আমার সঙ্গে এই কাজ করত। আমি বাড়িতে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ কোনও প্রতিবাদ করেনি। আমি তাই থানায় চলে এসেছি। আমি চাই বাবা শাস্তি পার।” অন্যদিকে, মেয়েটির মা বলেন, “আমি জানার পরও কিছু করতে পারতাম না। প্রাণেই মেরে ফেলার হুমকি দিত। ভয় দেখাত, ওষুধ খাওয়াত আমায়। মারধর করেছে। বটি দিয়ে কুপিয়েছে। এরপর জোর করে ঘুমের ওষুধ খাওয়াত। বাইরে যেতে না পারি সেই কারণে গেট বন্ধ করে রাখত। মেয়েকে ধর্ষণ করবে বলে ও আমায় ঘুমের ওষুধ খাওয়াত। যাতে আমি অঘোরে ঘুমোই আর কোনও কিছু জানতে না পারি। নেশা করে এসে প্রতিদিন এমন কাজ করত। আমি না ঘুমিয়ে পড়লেই মেয়েকে ধর্ষণ করত ও। আমি চাই ওর যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।”
এদিকে, গোটা ঘটনার খবর জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ পদক্ষেপ করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত। এরপর তাকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। বারুইপুর আদালতে পাঠান হয় তাকে।