খবরে আমরাঃ গরু পাচার-কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে জেরাও করা হয়েছে। এবার তাঁরই দেহরক্ষীকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। আগামিকাল তাঁকে তোলা হবে আসানসোলের সিবিআই আদালতে। তবে কি অনুবর্তের সঙ্গে সিবিআই গ্রেফতারের দূরত্ব কমে আসছে, প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই।
গরুপাচার কাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একাধিকবার তাঁকে জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার ফের সায়গল হোসেনকে তলব করা হয়েছিল। এদিন দুপুর ২ টোর বেশ কিছুটা পর নিজাম প্যালেসে পৌঁছন সায়গল। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। দফায় দফায় চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ম্যারাথন জেরার পর সন্ধেয় গ্রেপ্তার করা হয় সায়গলকে। সিবিআই সূত্রে খবর, সম্পত্তির হিসেবে দিতে পারেননি ধৃত। তাঁর আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনও মিল নেই। বক্তব্যে মিলেছে একাধিক অসংগতি। সেই কারণেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সায়গলকে। আজ রাতেই ধৃতের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে। আগামিকাল আসানসোলের বিশেষ আদালতে তোলা হবে ধৃতকে।
১ জুন, বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তারক্ষী সায়গল হোসেনের বোলপুর ও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন আধিকারিকরা। তারপর বৃহস্পতিবার ফের তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ২ জুন কলকাতায় এসে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। টানা সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। ওইদিন অনুব্রতর লিখিত বয়ান নেওয়া হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য রেকর্ডও করা হয়েছে বলেই খবর। এছাড়াও ইতিমধ্যেই ২ বার গরুপাচার কাণ্ডে জেরা করা হয়েছে অনুব্রতকে।