গুজবে কান দেবেন না। সিসিটিভি বসিয়ে ট্রাফিক ভঙ্গকারীদের ধরা হবে বলে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি ভুয়ো বলে জানিয়ে দিল বর্ধমান ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক ভঙ্গকারীদের ধরতে নতুন কোনও পদ্ধতি পুলিশ চালু করেনি বলে জানিয়ে দিলেন ট্রাফিকের ডিএসপি অতনু ব্যানার্জী।
মাত্র দিন দুয়েক আগেই একটি বিজ্ঞপ্তি বাজারে ছড়িয়ে যায়। বর্ধমান শহরের প্রত্যেকটি মানুষের মোবাইলে ওয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ছড়িয়ে পড়ে যে বর্ধমান (Burdwan) শহরজুড়ে অত্যাধুনিক সিসিটিভি (CCTV) বসিয়েছে বর্ধমান ট্রাফিক পুলিশ (Burdwan Traffic Police)। এবার থেকে হেলমেট বিহীন গাড়ি, ওবারটেকিং, সিগনাল লাইট ভায়োলেশন, অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালালে এবার আর পুলিশ নয়, আপনাকে ধরতে তৈরি ওই ক্যামেরা। নইলে তৈরি থাকুন ৫০০-১০ হাজার টাকা জরিমানা ভরতে। (ভুযো বিজ্ঞপ্তি)
শহরের মূল কেন্দ্রগুলি যেমন, বীরহাটা (Birhata), কার্জন গেট (Curzon Gate), নবাবহাট মোড় (Nababhat More), আলিশা মোড (Alisha More), উল্লাস মোড় Ullash More), স্টেশন Burdwan Station) মোড় সহ কয়েকটি রাস্তার মোড়ে বসেছে এই সিসিটিভি। বর্ধমান ট্রাফিক পুলিশ থেকে আগাম সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে বলে জানান হয়।
গুজবে শোরগোল পড়ে যায় পুলিশ মহলে। শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এবার মাঠে নেমেছে পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশের ডিএসপি অতনু ব্যানার্জী জানিয়ে দিয়েছেন, এমন কোনও সিস্টেম বর্ধমান পুলিশ তৈরি করেনি। সিসিটিভি বসানোর কথা ভুয়ো। বর্ধমানে ট্রাফিক ভঙ্গকারীদের ধরতে কোনও নতুন পদ্ধতি চালু হয়নি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এমন বিভ্রান্তি যারা ছড়িয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, চালু পদ্ধতিতেই রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ চেকিং চালাচ্ছে। ধরা পড়লে চালান কেটেই জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
ওই ভুযো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলষ, আপনার ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গের ছবি ওই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। সেখান থেকেই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ধরে লিপিবদ্ধ মোবাইল নম্বরে চলে যাবে ফাইনের রসিদ। ১৫-৩০ দিনের মধ্যে সেই রসিদ নিয়ে ট্রেজারি বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আপনাকে ফাইনের টাকা ঘরতে হবে। একাধিক ফাইন জমা হয়ে গেলে বা অনাদায তাকলে সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছিয়ে যাবে আদালতের নোটিশ। একাধিক ভায়োলেশন হলে সাসপেন্ড হতে পারে আপনার গাড়ি চালানোর লাইসেন্স।