খবরে আমরা:: ২০১৬ সালে মুখতার আব্বাস নাকভিকে ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল বিজেপি। সেই রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে নাকভির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ জুলাই। অনেকেই মনে করেছিলেন নাকভিকে ফের ঝাড়খণ্ড থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হবে। কিন্তু গেরুয়া শিবির তা করেনি। সেই জায়গায় আদিত্য সাহুকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে মুখতার আব্বাস নাকভির সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার থাকা অন্য দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং নির্মলা সীতারমনকে ফের রাজ্যসভায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে বিজেপি। ফলে তাঁকে কি লোকসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হবে? কেননা উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদব এবং আজম খান যথাক্রমে আজমগড় এবং রামপুর আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন। সেই কারণে উপনির্বাচন হতে চলেছে সমাজবাদী পার্টির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ওই দুই আসনে।
অনেকেই মনে করেছিলেন বিজেপি মুখতার আব্বাস নাকভিকে প্রার্থী করতে পারে আজম খানের ঘাঁটি বলে পরিচিত রামপুরে। মুসলিম অধ্যুষিত এই আসনে বিজেপির পরিচিত মুসলিম মুখ মুখতার আব্বাস নাকভিকে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছিল।
বিজেপি মুখতার আব্বাস নাকভিকে রাজ্যসভায় পাঠায়নি। আবার উত্তর প্রদেশের রামপুর থেকে উপনির্বাচনেও প্রার্থী করেনি। ৭ জুলাইয়ের পরে নাকভির ভবিষ্যত কী? সেক্ষেত্রে তিনি কতদিন মোদী মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী থাকবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি সংসদীয় রাজনীতি থেকে অচিরেই সরে যাচ্ছেন তিনি? প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। মোদী মন্ত্রিসভায় রদবদলের জল্পনাও তীব্র হয়েছে।
কেননা ৭ জুলাইয়ের পরে মুখতার আব্বাস নাকভি আরও ছয়মাস পর্যন্ত মন্ত্রি থাকতে পারবেন দেশের সংবিধায়ন অনুসারে। তারপরেই তাঁকে ইস্তফা দিতে হবে। মুখতার আব্বাস নাকভি না থাকলে লোকসভা কিংবা রাজ্যসভায় কোনও সংখ্যালঘু সদস্য থাকবে না বিজেপির। ফলে জল্পনা তীব্র হয়েছে, তাহলে কি এই সংখ্যালঘু সদস্যকে ছেঁটে ফেলা হবে, নাকি আরও বড় কোনও পদে নিয়ে যাওয়া হবে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয়টিই করতে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তাঁকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী করে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে চমক দিতে পারে তারা। আবার কোনও কোনও মহলের মতে তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি পদেও প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। কেননা রাষ্ট্রপতি পদে বিজেপি বেছে নিতে পারে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের কোনও মহিলাকে।