পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সমগ্র সুন্দরবনের অধিকাংশই বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আমাদের দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যে অংশটুকু আছে তার আকর্ষণ প্রবল।
জোয়ারভাঁটায় নোনাজল ও মিষ্টি জল খেলা করে এই অংশে।তাই মূলত সুন্দরী গাছের বৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে এখানে। সেই সুন্দরী গাছ থেকেই নামকরণ ‘সুন্দরবন’।
এই সুন্দরবনে মোট ১০২ টি দ্বীপ থাকলেও তার মধ্যে ৩৪ টি দ্বীপে গড়ে উঠেছে জনবসতি। এখানে যারা থাকে তাদের প্রধান পেশা মৎস্য শিকার ও মধু সংগ্রহ। তাদের জীবনযুদ্ধ রয়্যাল বেঙ্গলের সঙ্গে লড়াই করে।শেষ বাঘ সুমারী (Tiger) অনুযায়ী সুন্দর বনে এখন ২০০ টির মতো বাঘ,৩০ হাজার চিতল হরিণ আর ১১ হাজার বুনো শুয়র আছে। আর আছে অজস্র বিষাক্ত সাপ। জলে কুমির ও কামট নিয়েই সুন্দরবন (Sunderban)। কিন্তু এই বনের প্রধান আকর্ষণ ৬৬ রকমের বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভ গাছ। হেঁতাল,গড়ান, সুন্দরী,কেওড়া,গর্জন ইত্যাদির গভীর বন।আর আছে ৫০০ প্রজাতির পাখি।
সুন্দরবন ভ্রমণের (Tourist sport Sunderban) প্রধান আকর্ষণ লঞ্চে করে খাড়িতে খাড়িতে ঘোরা। তৃষ্ণায় জলের জন্য বাঘ হরিণ শুয়র বাঁদর ওই খাড়িতে আসে জল খেতে।দিন তিনেক সময় হাতে নিয়ে আসতে পারলে সুন্দরবনের অধিকাংশ খাড়ি ঘুরে নেওয়া যায়।
অনেকেই লঞ্চে রাত্রিবাস পছন্দ করেন।তবে রাত্রিবাসের জন্য বিভিন্ন দ্বীপে হোটেল রিসর্ট আছে।
অন্যতম থাকার জায়গাগুলো হাল,সজনেখালী ট্যুরিস্ট লজ(9732509925),পাখিরালয়ে পাবেন ট্যুরিস্ট লজ(8336921097),মৌচাক হোটেল(943410788)এছাড়া আছে বিলাসবহুল :সুন্দরবন টাইগার ক্যাম্প’ (9830967600)।
শিয়ালদা থেকে ট্রেনে ক্যানিং যেতে পারলেই সুন্দরবন বেড়ানোর অনেক সুযোগ আসবে।লঞ্চ ভাড়া করে নিতে পারেন।বিভিন্ন ট্যুরিস্ট পার্টি কন্টাক্ট করে ভ্রমণ করায়।
শুধু হাতে একটু সময় আর মনে জল-জঙ্গলের বাসনা থাকলেই ঘুরে আসতে পারেন সুন্দরবন।