প্রখ্যাত সাহিত্যিক বিভূতিভূষনের ‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাসে শঙ্কর খুঁজে বেরিয়েছে মূল্যবান পাথর।অনেকটা সেইরকম ঘটনা ঘটালো বাঙালি রত্ন গবেষক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্ল্যাকা মাম্বা সাপ আর বাওবাব গাছের সেই দেশ আফ্রিকাতেই (Africa) বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না (Emerald) আবিষ্কার করলেন এক বাঙালি যুবক। বাঙালি তথা ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদের নাম মানস বন্দ্যোপাধ্যায় । এই বিরল কাণ্ডের ফলে গিনেস রেকর্ড বুকে উজ্জ্বল অক্ষরে লেখা হল ঘরের ছেলে মানসের নাম। ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে।
না কেটে এই পান্নাটির ওজন ১ কেজি ৫০৫ গ্রাম।স্বাভাবিক কারণেই সকলেই এই আবিষ্কারের জন্য উৎফুল্ল। মানসের দলে ছিলেন রিচার্ড। তাই সম্প্রতি গিনেস বুক অফ রেকর্ড (Guinness Book Of World Record) মানস, রিচার্ডের সঙ্গে গোটা দলটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পান্না আবিষ্কারের কৃতিত্ব দিয়েছে। মানসের আবিষ্কৃত পান্নাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘চিপেমবেল’। জাম্বিয়ার স্থানীয় ভাষায় যার অর্থ ‘গণ্ডার’। গণ্ডার কেন? যেহেতু উদ্ধার হওয়া না-কাটা পান্নাটির আকৃতি অনেকটা গণ্ডারের মুখের মতো।
এর আগেও জাম্বিয়ার বিখ্যাত রত্নের খনি কাজেম থেকে বড় চেহারার তথা বেশি ওজনের পান্না মিলেছে। ২০১০ সালে মেলে ১ কেজি ২৪৫ গ্রাম ওজনের পান্না ‘ইনফোসু’ বা হাতি। ২০১৮ সালে ১ কেজি ১৩১ গ্রাম ওজনের আরও একটি পান্না আবিষ্কার হয়। নামকরণ হয় ইনকালামু। যার অর্থ সিংহ। তবে সিংহ ও হাতিকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই গণ্ডার।