২০২৪ সালেও সাপের ভয়ে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না – এই খবর সত্যি বিস্ময়কর। তা আবার আফ্রিকার কোনো গহন গ্রাম নয়, আমাদের পাশেই উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া থানার অন্তর্গত কচুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিলা এলাকা। এর ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে। সাপের ছোবলে ইতিমধ্যে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। গত বছর বর্ষার পর সাপের কামড়ে শিশু-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এ বছর সাপের কামড়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এখানকার মানুষ মাঝে মাঝে বিষধর সাপ দেখতে থাকেন। এ পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫ জনকে সাপে কামড়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, গোবিলা গ্রামের মানুষ সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হতে ভয় পান। সাপের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা গ্রামে। সাপের ভয়ে মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে পারছেন না। ইতিমধ্যে অনেক সাপকে ধরে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত কয়েকদিনে গ্রামের প্রায় ২০-২৫ জন মানুষকে সাপে কামড়েছে। একবিংশ শতাব্দীতেও, গ্রামের অনেক মানুষ আধুনিক চিকিৎসার উপর ভরসা না রেখে কুসংস্কারের পন্থা নেন। এদিকে, তন্ত্র-মন্ত্র চর্চাকারী ভূতপ্রেমীরাও তাদের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, যারা গ্রামবাসীদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। এই গ্রামে সাপের ভয় এতটাই বেড়েছে যে এখন সন্ধ্যার পর মানুষ ঘর থেকে বের হয় না। গোটা গ্রামে সাপের আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়ে পড়েছে যে মনে হচ্ছে পুরো গ্রামটাই যেন সাপের আস্তানায় পরিণত হয়েছে! গ্রামবাসীরা জানান, সাপের ভয়ে রাতের বেলা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। তাই সড়কে স্ট্রিট লাইট বসানোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বসিরহাট ব্লক 2 পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য আধিকারিক বুলবুল ইসলাম জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ ছাড়া বন বিভাগের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে সড়কের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে লাইট বসানো হবে।