খবরে আমরাঃ করোনার দাপটে পড়াশোনা হয়েছে অনলাইনে। সরকারি-বেসরকারি অফিসের মিটিং, কাজও হচ্ছে ভার্চুয়ালই। স্কুল-কলেজের পরীক্ষাও হয়েছে অনলাইনে। আদালত চলেছে ভার্চুযাল। কিন্তু তা বলে অনলাইনে সাঁতারের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। অবাক হবেন না। ভার্চুয়াল পৃথিবীর সীমা বাড়ছে ক্রমশই। আর এই অনলাইনের সীমা যে কতদূর বাড়তে পারে, সম্প্রতি তারই নয়া নজির গড়ল চিনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়।
সোশ্যাল মিডিয়ার সূত্রে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল চিনের বিখ্যাত সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা একটি নির্দেশিকা। যা দেখে কার্যত চক্ষু ছানাবড়া নেটিজেনদের। না অনলাইন পরীক্ষার কথা তো হামেশাই শুনছেন আশপাশে। দেখছেনও। তাই বলে সাঁতারের অনলাইন পরীক্ষার কথা শুনেছেন কস্মিন কালেও?
তা অফিস অনলাইন হতে পারে। স্কুলের ইংরেজি, ভূগোল, ভৌতবিজ্ঞানের মতো কঠিন সব বিষয় অনলাইনে পড়ানো যেতে পারে। তবে সাঁতার কেন নয়। এমনই যুক্তিতে সম্প্রতি অনলাইনে সাঁতারের চূড়ান্ত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বসেছে চিনের ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব পড়ুয়ারা ৫০ মিটার সাঁতারের পরীক্ষা শেষ করে উঠতে পারেনি, তাঁরা অনলাইনেই সেরে ফেলতে পারে সেই পরীক্ষা। যেভাবে থিওরি পরীক্ষা তাঁরা অনলাইনে দিয়েছে, অনেকটা সেভাবেই হবে এই পরীক্ষাও। কীভাবে ভাবছেন নিশ্চয়ই? সেই উপায়ও বাতলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কে লগইন করে অনলাইনেই ওই পরীক্ষা দেবেন পড়ুয়ারা।
বেশ কিছুদিন ধরেই ফের করোনার প্রকোপ দেখা গিয়েছে চিনে। ফলে অনলাইন পড়াশোনার দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই। করোনাকালীন সময় থেকেই বন্ধ পড়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলটি। তবে তাই বলে পড়ুয়াদের বছর নষ্ট তো আর করা যায়। তাই বাধ্য হয়েই অনলাইন পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
তবে সেই নোটিসটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ব্যাপারটি নিয়ে শুরু হয়েছে হাসাহাসি। সাঁতারের পরীক্ষা অনলাইন নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। শুধু প্রশ্ন করে কীভাবে সাঁতারের পারদর্শিতা বুঝতে পারবেন পরীক্ষকেরা, দেখা দিয়েছে সেই প্রশ্নও। আর আপাতত সেই প্রশ্নটিকে কেন্দ্র করেই রসিকতায় মেতেছে নেটদুনিয়া।