রানী রাসমনির উৎসাহেই ঠাকুর রামকৃষ্ণের সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর নাম ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। কিন্তু ঠাকুরের কল্পতরু হয়েছিল কাশীপুর Cossipore) উদ্যানবাটিতে। সময়টা ১৮৮৬ সালের ১ জানুয়ারি। সত্যি তিনি কল্পতরু ছিলেন। ভক্তদের মনোবাঞ্ছা ঠিক পূরণ হতো তাঁর কাছে কিছু প্রার্থনা করলে। আর তিনি নিজে যখন যা খেতে চাইতেন, ঠিক তা জোগাড় হয়ে যেত। (Rani Rashmoni)
এমনই একবার দক্ষিণেশ্বরে (Dakshineswar) থাকাকালীন ঠাকুরের চালকুমড়োর তরকারি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হল। কিন্তু উপায় কী? তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সেদিন বাজারে একটি চালকুমড়ো-ও খুঁজে পাওয়া গেল না। অবশেষে বিস্তর খোঁজাখুঁজির পর জানা গেল এক গৃহস্থবাড়ির মাচায় একটি চালকুমড়ো আছে।ঠাকুরের (Ramkrishna Paramhansa) ভক্তরা গৃহস্বামীকে চালকুমড়োটি দিতে অনুরোধ জানান। কিন্তু গৃহস্বামী রাজি হলেন না। তিনি জানালেন, এই চালকুমড়োটি তাঁর গৃহদেবতার জন্য কুটো বেঁধে রাখা হয়েছে। কাজেই ওটি তিনি কিছুতেই দিতে পারবেন না।
অগত্যা সকলে ব্যর্থমনোরথ হয়ে দক্ষিণেশ্বরে ফিরে এলেন। এসেই দেখেন, এক কাণ্ড! ধুপ করে এক শব্দ হয় প্রথমে। তারপর-ই সকলে দেখলেন, কোথা থেকে এক হনুমান এসে একটি চালকুমড়ো নামিয়ে দিয়ে চলে গেল। দেখে ঠাকুরের সে কী হাসি! শিশুর মত বলে উঠলেন, “ওই দ্যাখ, স্বয়ং মহাবীরজি মাথায় করে এটা দিয়ে গেলেন।” (Spiritual)