কলকাতা হাইকোর্টের (calcutta highcourt) নির্দেশে শুক্রবার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষক পদে শূন্যপদের হিসেবে দিল রাজ্য সরকার (state Government) । বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (justice avijit ganguly) এজলাসে রাজ্য আদালতে জানাল, মোট ১৮ হাজারের কিছু বেশি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং লাইব্রেরিতে শূন্যপদ রয়েছে( teacher recruitment) । তবে এখনও ১৮ হাজারের শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়নি (teacher vaccancy)।
হিসাব অনুযায়ী, ১৩,৫১২টি শূন্যপদ রয়েছে সেকেন্ডারিতে (নবম দশম শ্রেণী)। ৫,৩২৭টি হায়ার সেকেন্ডারিতে (একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণী) এবং ২৩২৫টি প্রধান শিক্ষক পদে। তবে আদালতের নির্দেশে কত নিয়োগ আটকে রয়েছে, সেটা অবশ্য রাজ্য কোনও সুনির্দিষ্ট দেয়নি। পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোন শূন্যপদ নেই বলে জানিয়েছে রাজ্য।
এই শূন্যপদের তথ্যের ভিত্তিতে বিচারপতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে ৩৯৩৬টি শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে তাঁদের মেধা তালিকায় এবং প্রাপ্য নম্বরও প্রকাশ করে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। ভবিষ্যতে যদি কোন শূন্যপদ সৃষ্টি হয় তাহলে নিয়োগের আগে তাঁদের প্রাপ্য নম্বর এবং মেধা তালিকায় তাঁদের রাঙ্ক কত, সেটিও বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রকাশ করতে হবে। এই নিয়ে শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি হলফনামা দিয়ে জানাবেন কবে থেকে শূন্যপদে নিয়োগ তিনি শুরু করবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ ব্যক্তি হিসাবে তুলে ধরে এজদিন ফের বিচারপতি মন্তব্য করেন, তিনি আদালতের দিকে আঙ্গুল তুলে অভিযোগ করেছেন যে আদালতের কারণে চাকরী আটকে রয়েছে। ভবিষ্যতে নজর রাখবেন যেন আদালতের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার আগে তার সত্যতা যাচাই করে নিয়েছেন। বিচারব্যবস্থা উপর এই ধরণের অভিযোগ উঠলে আদালত চুপ করে বসে থাকবে না। আরও একবার সতর্ক করা হলো। রাজনৈতিক ভাবে বিচার ব্যবস্থাকে রাগিং নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাচক্রে ২১ জুলাই সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী অবিযোগ করেছিলেন যে, আদালতের জন্য অনেক শিক্ষক নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে।