খবরে আমরাঃ বাবুল সুপ্রিয় এখন তৃণমূলে। তিনি বালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী। কিন্কেতু তাঁণর ছেড়ে যাওয়া আসানসোল কেন্দ্র নিজেদের হাতে রাখতে ভোটের ময়দানে ফের বড় চমক তৃণমূলের। বাবুল সুপ্রিয়ের আসনেই এবার প্রার্থী বলি অভিনেতা। বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসার পরই আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় বাবুল সুপ্রিয়কে। লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে, এই ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল। তবে রবিবারের দুপুরেই বড় চমক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। এদিন দুপুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই টুইট করে জানান এই কথা।
কংগ্রেস থেকে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করা শত্রুঘ্ন সিনহা এর আগে পটনা সাহিব থেকে বিজেপির সাংসদ ছিলেন। পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। এতদিন তিনি তৃণমূলের বিদেশনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শদাতার কাজ করতেন। তবে সক্রিয় রাজনীতি থেকে এতদিন তাঁকে আড়ালে রাখার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে সকলকে চমকে দিয়েই বিহারী বাবু এবার আসানসোল থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন।
গায়ক অভিনেতা বাবুল সুপ্রিয়ও শত্রুঘ্ন সিনহার মতো বিজেপি ছেড়েই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপিতে থাকাকালীন আসানসোল থেকেই লোকসভার সাংসদ ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার তার জায়গাতেই প্রার্থী হতে চলেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তবে বিজেপির নয়, তৃণমূলের প্রার্থী তিনি।
আসানসোলেই কেন প্রার্থী করা হল বিহারী বাবুকে?
জনপ্রিয় অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি বিহারের বাসিন্দা হওয়ায়, প্রতিবেশী রাজ্য়ে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সেই কারণেই তাঁকে বিজেপির তরফে পটনা সাহিব থেকেই প্রার্থী করা হয়েছিল। আসানসোলে বাঙালির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষও বসবাস করেন। অবাঙালি ভোটবাক্স দখলে শত্রুঘ্ন সিনহা তাই সঠিক পছন্দ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অন্যদিকে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শত্রুঘ্ন সিনহা মূলত বিদেশনীতি ও অর্থনীতি সংক্রান্ত বিষয়েই পরামর্শদাতার কাজ করতেন। এবার লোকসভাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতেই ব্যবহার করা হবে বলিউড অভিনেতাকে।