হিন্দু তথা বেদান্ত ধর্মের কেন্দ্রে আছেন স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে নানা গল্পকথা সারা ভারতে ছড়িয়ে আছে।তবে বৈষ্ণবরা বিশ্বাস করেন,ভারতের ৫টি রাজ্যে শ্রী কৃষ্ণের ৫টি মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ অত্যন্ত জাগ্রত ও ভক্তবৎসল।তাই জন্মাষ্টমীতে ওই মন্দিরগুলো ভক্তে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ওই ৫টি মন্দির হলো –
১) কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির, মথুরা: (Sri Krishna Janmobhumi) (Mathura)উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার মল্লাপুরে অবস্থিত কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিরটি কৃষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে সবচেয়ে বিখ্যাত। ভক্তরা বিশ্বাস করেন,এই মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলেই কৃষ্ণের জন্ম।তাই কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দিরটিকে আলো ও ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানো হয়। বহু ভক্তের সমাগমে পূর্ণ হয়ে ওঠে মন্দির। চলে নামগান ও কীর্তন।
২) গুরুভায়ুর মন্দির, কেরালা: (Kerala) এই মন্দির পৃথিবীবিখ্যাত। বিষ্ণুর পবিত্র আবাস এবং দক্ষিণ ভারতের দ্বারকা নামেও পরিচিত। মন্দিরটি ১৬৩৮ সালে নির্মিত। ভক্তদের বিশ্বাস এই পবিত্র মন্দিরে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন। অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে মানুষের সমস্ত ক্রিয়া-কর্ম লক্ষ রাখেন।
৩) দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা: দ্বারকাধীশ মন্দির ‘জগৎ মন্দির’ নামেও পরিচিত। আদি শঙ্করাচার্যের পরিদর্শন করা চার ধাম স্থানগুলির মধ্যে একটি। মন্দিরটি আরব সাগরের তীরে এবং গুজরাটের গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। ভক্তদের বিশ্বাস জগৎপিতা শ্রীকৃষ্ণ এখন থেকেই সমস্ত বিশ্বকে নজরে রাখেন।তাই এই মন্দির ‘জগৎ মন্দির’ নামে খ্যাত। (Dwarka)
৪) বাঁকে বিহারী মন্দির, উত্তর প্রদেশ: এই মন্দিরের কৃষ্ণমূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছেন। মন্দিরটি বৃন্দাবনে অবস্থিত। এই মন্দিরের বিশেষত হল, এখানে কৃষ্ণ ত্রিভঙ্গ মূর্তিতে বিরাজ করেন। অর্থাত্ তিনটি বাঁকে মানে তিন জায়গায় ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই কৃষ্ণ কুঞ্জবিহারী নামেও পরিচিত। এই তৃভঙ্গ বলতে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতালকে বোঝানো হয়েছে – এমন বিশ্বাস বৈষ্ণবদের। তাঁরা মনে করেন এই তিন লোকের অধিশ্বর স্বয়ং কৃষ্ণ। (Sri Krishna)
৫) পান্ধারপুর, বিঠলা রুক্মিণী মন্দির (মহারাষ্ট্র): এই মন্দিরটি বিঠাল এবং রুখুমাই (ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তাঁর স্ত্রী রুক্মিণী) -কে উত্সর্গ করে নির্মিত। চন্দ্রভাগা নদীর তীরে অবস্থিত। চন্দ্রভাগা নদীর তীরেই শ্রীকৃষ্ণ তাঁর লীলায় মত্ত হয়েছিলেন রুক্মিণীকে নিয়ে। ভক্তদের এই বিশ্বসের প্রতিফলন আছে মন্দিরের স্থাপত্যে।