পুলওয়ামানার (Phulwama) হানা আজও ভারতবাসীর মনে টাটকা হয়ে রয়েছে। কিন্তু সেই হামলায় গুরুতর জখম এক জওয়ান এবার সুবিচারের আশায় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ হলেন।
সিআরপিএফ (CRPF) কর্তৃপক্ষ, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে নিগমপ্রিয় চক্রবর্তী (Nigampriya Chakroborty) অভিযোগ, হামলায় গুরুতর জখম হয়েও তিনি বঞ্চিত। পুলওয়ামা জঙ্গী হামলায় আক্রান্ত হলেও তিনি সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না।
ওই হামলায় তাঁর শিরদাঁড়া ছুঁয়েছে একটা বুলেট। অন্যটি তাঁর বাম হাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিবন্ধকতা সংক্রান্ত সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৮০ শতাংশ বিশেষ ভাবে সক্ষম নবদ্বীপের (Nawadip) নিগমপ্রিয় চক্রবর্তী। তাই সুবিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন নিগমপ্রিয়।
মামলাকারী দাবি, এত কিছুর পরেও তাঁকে কোনও সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। ওই হামলার ঘটনার পরেও গ্যালান্টারি আ্যাওয়ার্ডের (Galantry Awaard) জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্ত়পক্ষ একবারও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি তাঁকে। চিকিৎসার জন্য যাতায়াত খরচ বহন করতে হয় নিজেকে।
হাইকোর্টের বিচারপতি অরিন্দম মুখার্জির নির্দেশ, সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তাঁর চিকিৎসা করাবেন।
মামলাকারী আইনজীবী সুদীপ্ত পান্ডা বলেন, “তিন মাসের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। দেখতে হবে তিনি জওয়ান হিসেবে কাজ করতে পারবেন কিনা? না অফিসিয়াল ডিউটি করতে হবে। ততদিন পর্যন্ত তাঁকে বেতন দিতে হবে। “আদালতের নির্দেশ, গ্যালেনট্রি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার বিষয়ে পুনবিবেচনা করে দেখতে হবে।
২০১৬ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার মুখে পড়ে যায় সিআরপিএফের একটি দল। সেই দলে ছিলেন নবদ্বীপের নিগমপ্রিয় চক্রবর্তী। সেই বছরেই ২৫ মে শ্যুটিং প্রাকটিস শেষ ক্যাম্প ফিরছিলেন তাঁরা। মোট ৩টি ছোট গাড়ি ও একটি বাসে চড়ে ফিরছিলেন জওয়ানরা। সেই সময় তাদের উপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় শহিদ হন ৫ সিআরপিএই জওয়ান। নিগমপ্রিয় বাম হাতে একটি গুলি লাগে। অন্য একটি গুলি লাগে তার শিরদাঁড়ায়। সেই গুলিটি এখনও সেখানে বিঁধে রয়েছে। ওই গুলির লড়াইয়ে একা হাতে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে ঘায়েল করেন নিগমপ্রিয়। তার লড়াইয়ের জন্য জওয়ানদের বাসে উঠতে পারেনি জঙ্গিরা। এরপরেও পুরস্কার কিংবা চাকরী থেকে বঞ্চিত তিনি। মিলছে না বেতনও।