খবরে আমরাঃ এ কোন বঙ্গ! ধর্মের নামে হিংসা চলছে হাওড়ার কিছু নির্দিষ্ট এলাকায়। আর সেই হিংসার বলি হলেন এক নিরীহ মানুষ। বিনা চিকিৎসায় ট্রেনেই প্রাণ ত্যাগ করলেন। নেতা-মানবাধিকার কর্মীরা কিংবা ধর্মগুরুরাই বা তাকে কী বলবেন।
দাঙ্গা শব্দের ব্যবহার করা যায় না। সেটা নাকি সাম্প্রদায়িক হয়। আইনত শাস্তিযোগ্য বলেন সকলে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটি ধর্মের মানুষ পয়গম্বর বিতর্ক নিয়েই যখন বিক্ষোভ-অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে আর প্রশাসন অশান্তি ঠেকানোর নামে বিক্ষোভকারীদের কার্যত কর্ডন করে ঘিরে রেখেছে, সেটাকে কী বলে। রেল অবরোধের জেরে ট্রেনেই প্রাণ গেল এক প্রৌঢ়ের। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার দেউলটি স্টেশনের কাছে। সূত্রের খবর, চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদ গিয়েছিলেন জনৈক কে শ্রীনু। চিকিৎসা করিয়ে শুক্রবার সেকেন্দরবাদ-শালিমার সুপার ফার্স্ট এক্সপ্রেসে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, রেল অবরোধের জেরে দীর্ঘ ক্ষণ আটকে ছিল ট্রেন। তখন অসুস্থ হয়ে পড়েন লিভারের সমস্যা থাকা শ্রীনু। ট্রেনটি যখন দেউলটি স্টেশনের কাছে, তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি কোথায় তা এখনও জানা যায়নি।
এরই মাঝে অজ্ঞাত কারণে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ওি নির্দিষ্ট এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী-সেনা নামানোর আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কিছু মানুষ। শুক্রবার রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে। ধর্ণ বড় নাকি মানুষ, তার বিচারের অপেক্ষায় সকলে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ড) জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মার পয়গম্বর-মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদের আঁচে অগ্নিগর্ভ হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা। শুক্রবার চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় দীর্ঘ ক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। যার জেরে বাড়ি ফেরার পথে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শুক্রবার দুপুর ১টা নাগাদ চেঙ্গাইল স্টেশনে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় সাত ঘণ্টা পর রেল অবরোধ ওঠে। এর জেরে পাঁচটি লোকাল ট্রেন বাতিল হয়।