www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

March 19, 2024 5:03 pm
bTech chaiwala

ভাল পারিশ্রমিকের চাকরি যাওয়ার পরেও দমে যাননি অশ্বিনী। আলাদা কিছু করার জেদ পেয়ে বসে। অশ্বিনী কুমারের মাথায় আসে, একটু অন্যরকম ভাবে ব্যবসা করার। যা হবে অন্যদের থেকে একটু আলাদা। শুরু করেন চায়ের দোকান। চায়ের প্রায় ৭ থেকে ৮ রকম ভ্যারাইটি নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। অন্ডাল থানার অদূরে, দু'নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে শুরু করেন বিটেক চাওয়ালা (B.Tech Chaiwala) নামক চায়ের দোকান। তার এই পদক্ষেপে সবসময় পাশে ছিল পরিবার, বিশেষ করে বাবা-মা, জানিয়েছেন অশ্বিনী।

করোনা মহামারীর সময়ে বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বিশেষ করে লকডাউনের (Lockdown)  সময়ে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। তবে সেই সময় কাজ হারিয়ে বর্তমানে নিজের নাম করে নিয়েছেন অন্ডালের যুবক অশ্বিনী কুমার। তিনি সেখানে পরিচিত বিটেক চাওয়ালা নামে।

বছর ২৬-এর অশ্বিনী কুমারের পিতৃভূমি বিহারের বেগুসারাই (Begusarai)। কিন্তু জন্মভূমি অন্ডালের (Andal) কাজরা (Kajora)। বেড়ে ওঠাও এই এলাকাতেই। বাবা পেশায় ইঁটের ব্যবসায়ী। বাড়িতে রয়েছেন মা,বাবা, দুই বোন ও এক ভাই।

২০১১ সালে কাজরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে অশ্বিনী কুমার। এরপর বীরভূমের শান্তিনিকেতনের শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিকে পড়াশোনা। এরপর ২০১৬ সালে পানাগড়ের আর্যভট্ট কলেজ থেকে মেকানিক্যালে স্নাতক ডিগ্রি।

মেকানিক্যাল ডিগ্রি (Diploma In Mechanical) অর্জনের পর ২০১৯-এ বেঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি বাইক তৈরির কারখানায় সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদে কাজ শুরু করেন অশ্বিনী কুমার। ওই বছরের শেষে আর পরের বছর অর্থাৎ ২০২০-র শুরুতে করোনা মহামারী শুরু হতেই লকডাউন শুরু হয়ে যায়। সেই লকডাউনে চাকরি হারানো মানুষদের তালিকায় ছিলেন অশ্বিনী কুমারও (Aswini Kumar)। লকডাউনের শুরুতেই বেঙ্গালুরু (Bengaluru) থেকে অন্ডালে চলে আসেন অশ্বিনী।

ভাল পারিশ্রমিকের চাকরি যাওয়ার পরেও দমে যাননি অশ্বিনী। আলাদা কিছু করার জেদ পেয়ে বসে। অশ্বিনী কুমারের মাথায় আসে, একটু অন্যরকম ভাবে ব্যবসা করার। যা হবে অন্যদের থেকে একটু আলাদা। শুরু করেন চায়ের দোকান। চায়ের প্রায় ৭ থেকে ৮ রকম ভ্যারাইটি নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। অন্ডাল থানার অদূরে, দু’নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে শুরু করেন বিটেক চাওয়ালা (B.Tech Chaiwala) নামক চায়ের দোকান। তার এই পদক্ষেপে সবসময় পাশে ছিল পরিবার, বিশেষ করে বাবা-মা, জানিয়েছেন অশ্বিনী।

বিভিন্ন স্বাদের চা নিয়ে দোকান খুলবে, তাই বাড়িতেই শুরু হয় প্রশিক্ষণ। বাড়িতে বসে নিজের হাতে বিভিন্নৃ ধরনের চা তৈরি করে বাড়ির লোকেদের খাওয়ানো শুরু করেন অশ্বিনী। এরপর ২০২৩-এর সালের ২৬ জানুয়ারি জাতীয় সড়কের ধারে শুরু হয় তাঁর চা নিয়ে ব্যবসা। মাস খানেকের কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই পরিচিত নাম হয়ে উঠেছে বিটেক চাওয়ালা। জাতীয় সড়ক দিয়ে যাওয়া বহু গাড়ির সওয়ারিরা দাঁড়িয়ে অশ্বিনীর হাতে তৈরি চা খেয়ে যাচ্ছেন। ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে চায়ের দাম । এর মধ্যে চকলেট চা, এলাচি চা, বাটার চা ও কেশর চা অতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে ওই এলাকায়।

আসানসোল (asansole) থেকে কলকাতার (Kolkata) যাওয়ার পথে অন্ডাল থানা পার করে বাঁদিকে পড়ে বিটেক চাওয়ালা সাইনবোর্ড। কেন বিটেক ডিগ্রি থাকতে এবং ভাল চাকরির সুযোগ থাকতেও চায়ের দোকান? প্রশ্নের উত্তরে অশ্বিনী জানায়, লকডাউনে চাকরি যায়। এরপর কিছুদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম ছিল। সেখানে কাজের মজা পায়নি সে। সেই সময় মাথায় আসে অন্য কিছু করার।

বাড়ির বড় ছেলে অশ্বিনী বাবাকে তাঁর পরিকল্পনার কথা বলে। প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে মত দেন বাবা। সবরকম সাহায্য করেন দোকান তৈরি করতে। বলা যেতে পারে, নিজের ইচ্ছাশক্তি ও কর্ম ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে চাকরি যাওয়ার পরেও ব্যবসাকে সঙ্গী করেই ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়ালেন অশ্বিনী।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *