মহাপ্রভুর পীঠস্থান নবদ্বীপে নাকি কসাইখানা, রাজ্যের না
নবদ্বীপে মহাপ্রভুর জন্মস্থানে কসাইখানা নয়। কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। পাশাপাশি স্থানীয় পুরসভার পক্ষ থেকে সেই অর্থ কেন্দ্রকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নথিও আদালতে পেশ করল রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কসাইখানা তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
ওই পরিকল্পনাতে বলা হয়, রাজ্যের বিভিন্ন পুর এলাকায় পুর আইন মেনে কসাইখানা তৈরি করতে হবে। কসাইখানায় পশু চিকিত্সক থাকা আবশ্যিক, এই বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে ওই পরিকল্পনার নির্দেশিকায়। রাস্তার ধারে যত্রতত্র কসাইখানা যাতে না হয়, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল।
কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কসাইখানার পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক। সেই অর্থ নির্দিষ্ট পুরসভাগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা অনুযায়ী নবদ্বীপে একটি কসাইখানা তৈরি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ২০১৭ সালে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন ভক্তিসাধন তাপার মহারাজ। আবেদনকারীর দাবি, নবদ্বীপ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। সেখানে কসাইখানা তৈরি সঠিক পদক্ষেপ নয়। আদালত এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক বলে আর্জি জানান।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকারের আইনজীবী তপন মুখার্জি আদালতকে জানান, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবদ্বীপে কোনওভাবেই কসাইখানা তৈরি করা হবে না। ইতিমধ্যে নবদ্বীপ পুরসভা থেকে কসাইখানার জন্য বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্রকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আদালতে উপস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবীও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেননি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি ঘোষণা করেছে। (ফেবু)