হিন্দু ধর্মে পরম পুরুষের প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন ধরনের সাধু আছে। তারা বিভিন্ন রূপে সাধনা করেন ও ভগবান দর্শনের চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে নাগা সন্ন্যাসী ও অঘোরি সাধুর বেশ অনেকটা এক রকম। তাই এদের পার্থক্য করা কিছুটা অসুবিধা। তবে এদের মধ্যে পার্থক্য কিন্তু অনেক। যেমন –
১) নাগা সাধু এবং অঘোরি বাবা হওয়ার জন্য কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। নাগা সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য প্রায় ১২ বছর তপস্যা করতে হয়। আর অঘোরি বাবা বছরের পর বছর ধরে শ্মশানে তপস্যা করেন।
২) একজন নাগা সাধু আখড়ায় গুরুর সেবা করেন। সন্ন্যাসী হওয়ার জন্য আখড়ায় কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। তারপর তাঁরা জ্ঞানলাভ করেন। আর অপর দিকে শ্মশানে মৃতদেহের কাছে বসে তপস্যা করেন অঘোরিরা।
৩) নাগা সাধু ও অঘোরি বাবারা শিবের পুজো করেন। কিন্তু পুজোর পদ্ধতি আলাদা হয়। নাগা সাধু হওয়ার জন্য গুরুর সেবা করা যেমন বাধ্যতামূলক বলা হয়, অঘোরি বাবার ক্ষেত্রে সে বিষয় নেই। তাঁদের আলাদা করে গুরুর প্রয়োজন হয় না।
৪) নাগা সাধু ও অঘোরি বাবাদের আহার পদ্ধতি আলাদা। নাগা সাধুরা নিরামিষ আহার করেন। আর অপরদিকে অঘোরি বাবারা আমিষভোজী। বলা হয় তাঁরা মাংস খান। অঘোরিদের গলায় খুলির মালাও দেখা যায়।
৫) নাগা সাধুরা সাধারণত নগ্ন অবস্থায় থাকেন। আর অঘোরিরা তাঁদের শরীরের নীচের অংশ ঢেকে রাখেন।